লোকসভা নির্বাচন সদ্য মিটেছে। এরই মধ্যে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) রাজ্য শাখার নির্বাচন নিয়ে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে চিকিৎসক মহলে। আগামী অগস্ট-সেপ্টেম্বরে সংগঠনের নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে তার আগে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তৃণমূলের চিকিৎসক নেতাদের অন্দরের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠল। হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি থেকে শুরু করে মাইক, চেয়ার ভাঙা, গালিগালাজ কিছুই বাদ থাকল না। অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা তথা বিধায়ক সুদীপ্ত রায় এবং উত্তরবঙ্গের চিকিচক নেতা সুশান্ত রায় গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রাক্তন সাংসদ তথা চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন এবং নির্মল মাজি গোষ্ঠীর চিকিৎসকদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: চিকিত্সক, নার্সদের হাততালি দিয়ে অভিনন্দন দিল্লির পাঁচতারা হোটেলে
যাওয়া যাচ্ছে, সম্প্রতি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখার বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকেই এমন ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। ঘটনায় সুশান্ত এবং সুদীপ্ত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করার অভিযোগ তুলেছে শান্তনু এবং নির্মল মাজির গোষ্ঠী। তাদের বক্তব্য, সুশান্ত গোষ্ঠীর লোকজন বাসে করে প্রচুর লোকজন বাইরে থেকে নিয়ে আসে। তারাই অশান্তি তৈরি করেছে। মূলত আইএমএ-র নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে এই সমস্যা হচ্ছে।
এই বৈঠকে সুদীপ্ত নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। হাজির ছিলেন শান্তনু সেন এবং নির্মল মাজি। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সুদীপ্তর মেয়েদের পালটা অভিযোগ, শান্তনু ও নির্মল মাজির গোষ্ঠী তাদের ওপর হামলা চালায়। অভিযোগ, ঘটনার সময় শান্তনু চুপচাপ বসে ছিলেন। পরে তিনি নির্মল মাজির কাছে সাহায্যের আবেদন করেন সুদীপ্তর মেয়ে। তবে সুদীপ্তর মেয়ের আরও অভিযোগ, সংগঠনের মধ্যেই প্রচুর বিজেপির লোক ঢুকে পড়েছে। তারাই এসব অশান্তি করাচ্ছে। যদিও সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দিলীপ দত্ত সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেছেন অন্যায়ভাবে কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্বাচন কমিশন তৈরি করা হয়েছে। সেটা কোন ভাবে মানা যাবে না। এ বিষয়ে সুদীপ্ত, সুশান্ত ও নির্মল মাজির কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শান্তনু সেনও কিছু বলতে চাননি।