অবশেষে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য পরিষেবার এই কার্ড তুলে দিলেন খোদ রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রধান প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের নতুন পরিষেবা বিলির প্রকল্প ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’। আর তাতেই উপকৃত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে এই মমতা, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। এর বাড়ি কালীঘাট নয়, হালতুতে। কলকাতা পুরসভার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স সত্তোরের কাছাকাছি। এই ওয়ার্ড থেকে প্রথম তাঁর হাতেই এদিন তুলে দেওয়া হয় স্বাস্থ্যাসাথী কার্ড। তুলে দিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
জানা যায়, হালতু পূর্বাচলের বাসিন্দা মমতাদেবীর স্বামী রিকশা চালাতেন। তিনি মারা যাওয়ার পর ভুগছিলেন অর্থকষ্টে। ছেলের চায়ের দোকান থেকে যা রোজগার হয় তাতে কোনওমতে চলে সংসার। ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’— রাজ্যের নতুন এই উদোগের কথা জানতে পেরে এদিন সকালেই শিবিরে গিয়ে হাজির হন তিনি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। সরকারের তরফ থেকে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার এই পরিষেবা পেয়ে এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত হালতুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে ১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের সমস্ত নাগরিক স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাবে। প্রকল্পের অধীনে প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হবে ১টি করে স্মার্টকার্ড। সেই কার্ডের মাধ্যমে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা করাতে পারবেন তাঁরা। রাজ্যের সাড়ে ৭ লক্ষ মানুষ আগে থেকেই স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে ছিলেন। বাকিদের মধ্যে যাঁরা অন্য কোনও স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পান না তাদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনল রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গের ১৫০০ বেসরকারি হাসপাতালে এই প্রকল্পের অধীনে মিলবে ক্যাশলেস সুবিধা। এছাড়া দিল্লির এইমস ও ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালেও এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।