নিউটাউনে একেবারে ঝাঁ চকচকে অফিসে। প্রথম দেখলে অবাক হওয়ারই কথা। আসলে এই অফিসের আড়ালেই ডালপালা মেলেছিল ভুয়ো ঋণদানকারী সংস্থা। সিআইডির তদন্তে নেমে উঠে আসে একের পর এক তথ্য। এই অফিসটি আসলে ভুয়ো ঋণদানকারী সংস্থার প্রতারণাচক্রের অন্যতম ফাঁদ। এই অফিসটিকে কেন্দ্র করে প্রতারণাচক্রের জাল বোনা হয়েছিল বলে অভিযোগ। অন্তত শতাধিক কর্মী কাজ করতেন এই সংস্থায়। অতিমারি পরিস্থিতিতে তারা বর্তমানে বাড়ি থেকেই কাজ করছিলেন। মোটা টাকা বেতনও দেওয়া হত তাদের। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েছে ১২জন। কিন্তু কীভাবে চলত এই চক্র?
প্রাথমিক তদন্তে তদন্তকারীরা জেনেছে, নামী সংস্থার নাম করে বিভিন্নজনের কাছে ফোন করা হত। কম সুদে ঋণ নেওয়ার জন্য নানা প্রলোভন দেওয়া হত। ঋণ পাওয়ার জন্য নানা ধরনের নথি জমা দেওয়ার কথাও বলা হত। এরপরই গ্রাহকরা ঋণ নেওয়ার জন্য তদ্বির শুরু করলেই প্রসেসিং ফি জমা দেওয়ার কথা জানাত সংস্থা। সেই ফি এর পরিমাণ লক্ষাধিক টাকাও হয়ে যেত। আর সেই প্রসেসিং ফি জমা পড়তেই বদলে যেত নম্বর। গ্রাহকরা আর নাগাল পেত না নম্বরের। ফের নতুন গ্রাহকের কাছে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হত। ওই সংস্থা থেকে প্রায় শতাধিক ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। নানা ভাষায় কথা বলে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করত সংস্থার কর্মীরা। ঠিক কত টাকার প্রতারণা এতদিন ধরে করা হয়েছে সেব্যাপারেও খোঁজখবর নিচ্ছেন তদন্তকারীরা।