পঞ্চায়েত দফতর সাতজন শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ারকে ২৩টি জেলার দায়িত্ব দিয়েছে। এখন তাঁরাই গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের আওতায় কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া দেখবেন। সুতরাং জেলা পরিষদের হাত থেকে এই ক্ষমতা চলে গেল পঞ্চায়েত দফতরের হাতে।
আগামী ২০২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই আরও মানুষের পরিষেবা বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। স্থানীয় স্তরে কোমর বেঁধে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন গ্রামবাংলার পরিকাঠামো খাতে খরচের এক্তিয়ার পঞ্চায়েত দফতরের হাতে দিয়ে দিল রাজ্য সরকার। যা আগে ছিল জেলা পরিষদের হাতে। সুতরাং জেলা পরিষদের ক্ষমতা একধাক্কায় কমল বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত রাজ্যের? মানুষের টাকা যাতে নীচুস্তর পর্যন্ত পৌঁছয় তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোনও দুর্নীতির অভিযোগ যাতে না আসে তার জন্যই এই পদক্ষেপ। তার সঙ্গে আগামী বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন বাড়তি মাত্রা যোগ করছে। পঞ্চায়েত স্তরের মানুষজন নানা পরিষেবা পেয়ে থাকেন। সেটাকে আরও বৃদ্ধি করতেই এই ক্ষমতা হস্তান্তর বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী? এই বিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজের গুণমানে নজর রাখেন। জেলা পরিষদ পঞ্চায়েতের মধ্যেই। কাজের সুবিধা এবং তাতে গতির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, গ্রামীণ রাস্তাঘাট এবং পরিকাঠামো খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ নবান্ন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত দফতর সাতজন শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ারকে ২৩টি জেলার দায়িত্ব দিয়েছে। এখন তাঁরাই গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের আওতায় কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া দেখবেন। সুতরাং জেলা পরিষদের হাত থেকে এই ক্ষমতা চলে গেল পঞ্চায়েত দফতরের হাতে।