এবার শাস্তির মুখে ৩১জন সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার। তাঁদের প্রত্যেককে ২০ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। কার্যত নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের।
কেন এই শাস্তির পদক্ষেপ ?
সূত্রের খবর, বদলির আদেশ বেরিয়েছিল। কিন্তু সেই বদলির নির্দেশকে তারা মানতে চাননি বলে খবর। এই বদলির নির্দেশকে না মেনে তাঁরা সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজেই ডিউটি করে যান। একেবারে টানা তিন বছর ধরে তাঁরা নির্দেশ পালন করেননি। এরপর একেবারে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। স্বাস্থ্য দফতরের নজরে রয়েছে আরও ২৫জন চিকিৎসক। তাঁদেরও বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা তা মানতে চাননি। কেন তাঁরা বদলির নির্দেশ মানতে চাননি সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি দেখা যায় যে তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে এই নিয়ম মানেননি তবে তাঁদের বিরুদ্ধেও জরিমানা আরোপ করা হতে পারে। খবর এই সময় ডিজিটাল সূত্রে।
আসলে রাজ্যের কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমডি এমএসের মতো ডাক্তারির স্নাতকোত্তর পড়তে গেলে একটা বন্ডে সই করতে হয়। সেই বন্ডের শর্ত অনুসারে পাশ করার পরে তিন বছর সরকারি পরিষেবার মধ্যে যুক্ত থাকতে হবে। নিয়ম অনুসারে প্রথম বছরটা যে মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর করছেন সেখানে পরিষেবা দিতে হবে, পরবর্তী দু বছর তাঁকে অন্যত্র বদলি করা হবে। সেটা জেলা বা মহকুমা, সুপার স্পেশালিটি, স্টেট জেনারেল হাসপাতাল হতে পারে। যদি এটা কেউ না মানেন তবে জরিমানা আরোপ করা যেতে পারে আর সেই জরিমানাই আরোপ করা হল এবার। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল রিলিজ না দেওয়ার জন্যই তাঁরা নতুন জায়গায় যোগ দিতে পারেননি।
তবে এই যে একই মেডিক্যাল কলেজে দিনের পর দিন থাকার বিষয়টি নিয়ে নানা চর্চা হচ্ছে। কারণ একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে শাসক বিরোধী কথাবার্তা বললেই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে চাপে পড়তে হয়। তবে কি যারা যেতে চাননি, একই মেডিক্যাল কলেজে রয়ে গিয়েছেন তাঁরা কি শাসক ঘনিষ্ঠ?
এই সম্ভাবনার বিষয়টি সামনে আসছে এবার। কারণ শাসক ঘনিষ্ঠ বা হাসপাতালের প্রশাসন যাদের হাতে রয়েছে তাদের ঘনিষ্ঠ না হতে পারলে এভাবে একই হাসপাতালে বছরের পর বছর ধরে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তবে সরকারের এই মনোভাবের জেরে এবার চিকিৎসক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।