উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ তুলে এবার অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। সোমবার বউবাজার থানায় তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জনৈক এক ব্যক্তি। সম্প্রতি একটি সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে তিনি বক্তৃতা রাখার সময় উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। এর ভিত্তিতে প্রবীণ অভিনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মমতা শঙ্করকে বিচ্ছেদের পর হেলেনাকে বিয়ে, ৪ মাসে ডিভোর্স!প্রয়াত মিঠুনের ১ম স্ত্রী
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে গত ২৭ অক্টোবর কলকাতায় বিজেপির সদস্যপদ অভিযানের সূচনা উপলক্ষে একটি সভা হয়। সেই সভায় বক্তৃতার মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘বাংলায় জয়ের জন্য বিজেপি যেকোনও কিছুর জন্য প্রস্তুত। এর মধ্যে কিছুই রয়েছে, যা বলা যায় না। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনেই এটা বলছি। আমি অনেক রাজনীতি, হিংসা, রক্তাক্ত রাজনীতি দেখেছি।’ তারপরে তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবিরের একটি বিতর্কিত মন্তব্য উল্লেখ করে মিঠুন বলেন, ‘এক নেতা বলেছিলেন সেখানে ৭০ শতাংশ মুসলিম আর ৩০ শতাংশ হিন্দু। দু ঘণ্টার মধ্যে কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেবে।’ মিঠুন বলেছিলেন, ‘তবে আমরা ভাগীরথীতে ফেলব না। কারণ ভাগীরথী আমাদের মা। তোমাকে আমরা মাটিতে পুঁতে দেব।’
তৃণমূলকে সতর্ক করে তিনি আরো বলেছিলেন, ‘আমাদের এমন কর্মীদের দরকার যারা লড়াই করতে পারে। আমাদের এমন কর্মী দরকার যারা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারে যে এসো, আমার দিকে গুলি চালাও দেখাও তোমার বন্দুকে কত গুলি আছে। তোমরা যদি আমাদের গাছ থেকে একটি ফল ছিঁড়ে নাও তাহলে আমরা চারটি ছিঁড়ে ফেলব।’
মিঠুন চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের পরেই তুমুল সমালোচনা সরব বিরোধীরা। ভোটারদের মধ্যে হিন্দু মুসলিম নিয়ে তিনি উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ। লালবাজার সূত্রের জানা গিয়েছে, এই মন্তব্যের জেরেই মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সভায় সিনেমার সংলাপ শোনা গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর মুখে। সেরকমই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজের সিনেমার একটি সংলাপ নির্বাচনী সভায় করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেই সময়ও উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছিল। আর এবার হিন্দু-মুসলিম নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল মিঠুন চক্রবর্তী বিরুদ্ধে। এখন পুলিশকে কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার।