কলকাতা বিমানবন্দরে আগুন লাগল। প্রাথমিকভাবে যা খবর, তাতে কলকাতা বিমানবন্দরের একটি গেট লাগোয়া কনভেয়ার বেল্টের কাছে আগুন লাগে। বিমানবন্দরের কর্মীদেরই তৎপরতায় কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে বলে দাবি করা হয়েছে। একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিমানবন্দরে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। সেইসময় আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে কোনওভাবে আগুন লেগে গিয়েছে বলে ওই মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরের তরফে আপাতত কিছু জানানো হয়নি।
আজ থেকে বিজিএস শুরু
এমন একটা সময় সেই ঘটনা ঘটেছে, যেদিন থেকে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস) শুরু হয়েছে। আজই বিজিবিএসের প্রথম দিন। বুধবার ও বৃহস্পতিবার নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে অষ্টম বিজিবিএস চলবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবার ৪০টি দেশের প্রায় ২০০ জন বিদেশি অতিথি যোগ দিচ্ছেন বিজিবিএসে। ২০টি দেশ হল 'পার্টনার'। তাছাড়াও ২৬টি দেশের রাষ্ট্রদূত বা তাঁদের সমতুল্য প্রতিনিধিরা বিজিবিএসে যোগ দেবেন। এর আগে যে সাতটি বিজিবিএসের সম্মেলন হয়েছে, তাতে এতজন বিদেশি প্রতিনিধি যোগ দেননি।
বিজিবিএসে হাজির থাকছেন প্রথমসারির শিল্পপতিরা
আর শুধু বিদেশি প্রতিনিধিরা নন, দেশ ও রাজ্যের প্রথমসারির শিল্পপতিরাও যোগ দেবেন বিজিবিএসে। সূত্রের খবর, গতবারের মতো এবারও বিজিবিএসে হাজির থাকবেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি, জেএসডব্লু গ্রুপের চেয়ারম্যান সজ্জন জিন্দল, আরপিএসজি গ্রুপের চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, টিটাগড় রেল সিস্টেমস লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান উমেশ চৌধুরীরা উপস্থিত থাকবেন। সবমিলিয়ে রাজ্য সরকার আশা করছে যে এবারের সম্মেলন থেকে বড় অঙ্কের লগ্নির প্রস্তাব আসবে পশ্চিমবঙ্গে।
বিজিবিএসের সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত
১) বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে সেমিকন্ডাক্টর নীতির ঘোষণা করা হতে পারে।
২) প্রতিরক্ষা নির্মাণ সংক্রান্ত নীতিরও ঘোষণা করা হতে পারে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে।
৩) পশ্চিমবঙ্গে একগুচ্ছ নয়া হোটেল নিয়ে মউ স্বাক্ষর করা হতে পারে।
৪) নিউ টাউনে মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করা হতে পারে।
৫) সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, স্টার্ট-আপ, গ্লোবাল কেপেবিলিটি সেন্টার (জিসিসি), চর্মশিল্প, বস্ত্রশিল্পের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রেও নীতি ঘোষণা করতে পারে রাজ্য সরকার।
১) ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি-সহ উৎপাদন ক্ষেত্র।
২) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য।
৩) পর্যটন।
৪) স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো।
৫) তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র।
৬) সৃজনশীল অর্থনীতি।
৭) শিক্ষা।
৮) বিদ্যুৎ (অচিরাচরিত শক্তির দিকে বাড়তি নজর)।