ফের কলকাতায় অগ্নিকাণ্ড। বিধ্বংসী আগুন লাগল তপসিয়ার একটি কারখানায়। ক্রমেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, দমকলের ৯টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে। তপসিয়ার ৮ নম্বর অবিনাশ চৌধুরী লেনে সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ আগুন লাগে। তবে এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় কারখানার আশেপাশে থাকা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, বন্ধ ট্রেন চলাচল, পরিষেবা বিপর্যস্ত
জানা গিয়েছে, যে কারখানায় এদিন সকালে আগুন লেগেছে তাতে অ্যালুমিনিয়ামের সামগ্রী তৈরি হত বড় আকারে। সকালে আচমকা কারখানা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রথমে তারায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু,কারখানার ভিতরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পেয়ে প্রথমে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু, তাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরে আরও ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ৯ ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এদিন অগ্নিকাণ্ডের জেরে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় কারখানার আশেপাশের এলাকা। একদিকে, নিম্নচাপের জেরে চলছে বৃষ্টি, অন্যদিকে কারখানায় আগুন। এই অবস্থায় বৃষ্টিতে ভিজেই দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে তৎপর হয়েছেন।
দমকল আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। যদিও কীভাবে আগুন লাগল তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তবে সব কিছু খতিয়ে দেখার পরেই আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান ,এদিন সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ কারখানা থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। কারখানা প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থাকায় কারখানার প্রায় সব ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কারখানার ভিতরে থাকা সামগ্রী প্রায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
এদিকে, আজ সোমবার সকালে হাওড়ার বাগনান স্টেশন সংলগ্ন সোনাপট্টি এলাকার একটি দোকানে আগুন লাগে। উলুবেড়িয়া দমকল কেন্দ্রের দুটি ইঞ্জিন আগুন আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এরফলে তিনটি দোকান ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।