ম্যাঙ্গো লেনের বহুতলে আগুন। রবিবার রাতে আচমকাই আগুন লাগে ৩ নম্বর ম্যাঙ্গো লেনের একটি বহুতলে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায় দূর থেকেও। এদিকে আগুনের জেরে বহুতলের বাসিন্দারা আটকে পড়েন বহুতলে। তবে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে আগুন লাগার জেরে বহুতলের একাধিক বাসিন্দার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। এদিকে ফ্ল্যাটের জানালা দিয়েও আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। সিঁড়িতেও দেখা যায় আগুনের শিখা। দমকলের তিনটি চারটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কোনওরকমে আবাসিকরা বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। তবে দমকল একদিকে যেমন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছে তেমনি বাসিন্দাদের একে একে উদ্ধার করা হয়। এক মহিলা বাসিন্দা বলেন, পুরো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। আমরা পাঁচতলায় ছিলাম। আতঙ্কে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু কিছুতেই বের হতে পারছিলাম না। কোনওরকমে দমকলের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে নীচে নামান। এরপর তাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের সকলের চোখে মুখে আতঙ্ক।
কিন্তু কীভাবে বহুতলে আগুন লাগল তা এখনও পরিস্কার নয়। সর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে। দমকলের চারটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করে। আগুনে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বাসিন্দাদের দাবি, এদিন আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। আগুন লাগার বিষয়টি প্রথমে একেবারেই বোঝা যায় নি। পরে দেখা যায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। পাশের ফ্ল্যাটেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারত। তবে দমকল দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।
ফ্ল্যাটের আবাসিকরা জানিয়েছেন, ওপরে একেবারে শ্বাসরোধ হয়ে যাচ্ছিল। নামতে পারছিলাম না। অনেকেই মাস্ক পরে, নাকে রুমাল, গামছা চাপা দিয়ে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। বহু বয়স্ক মানুষ ওই আবাসনে ছিলেন। তাঁদের ধীরে ধীরে নামানো হয়। আতঙ্কে কান্নাকাটি শুরু করে দেন তারা।
এক দমকল আধিকারিক জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে অগ্নিনির্বাপনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না ওই আবাসনে। গোটা সিঁড়ি ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। কিছু আবাসিক ছাদে চলে গিয়েছিলেন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে।