দমকল বিভাগে কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে এবার অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। উল্লেখ্য, প্রাথমিক ও এসএসসির পর এবার দমকলে কর্মী নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নির্দিষ্ট সময়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে হলফনামা জমা না পড়ায় এই মামলায় স্থগিতাদেশ আরও বাড়ানো হল। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হল। এদিন পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসির তরফে আদালতকে জানানো হয়, তাদের তরফে আইনজীবী বদল হয়েছে। তাই হলফনামা জমা দিতে আরও এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ফায়ার অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে ফলাফল প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষার পর ৫৩৭৫ জনকে ইন্টারভিউয়ের জন্য বাছাই করা হয়। অভিযোগ ওঠে, সংরক্ষণ সংক্রান্ত শংসাপত্রকে মান্যতা না দিয়েই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। এদিন পিএসসির তরফে হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল।
এই দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পর কিছু চাকরিপ্রার্থী রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইবুনালে যান। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল বা স্যাট মামলাটিকে খারিজ করে দেয়। এরপরই চাকরিপ্রার্থীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এবার হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি রাখল। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, যখন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিলেন, তখন তিনি দায়িত্বে ছিলেন না। উল্লেখ্য, রাজ্যে তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর দমকল বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয় সুজিত বসুকে। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত দমকল বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।