মধ্য় কলকাতার তালতলা এলাকার একটি স্কুলে ভয়াবহ আগুন। লা মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের তিনতলায় আগুন লাগে। বন্ধ দুটি ঘরে আগুন লাগে বলে খবর।স্কুলে ক্লাস চলাকালীনই ওই বন্ধ ঘরে আচমকা আগুন লাগে বলে খবর। দ্রুত স্কুল থেকে পড়ুয়াদের বের করে আনা হয়। আগুনের লেলিহান শিখা কার্যত গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছিল স্কুলের রুমকে। ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। দমকল ও পুলিশ গিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে স্বাভাবিকভাবেই স্কুলের মতো জায়গায় আগুন লাগার ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
দমকলের অন্তত তিনটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে। কিন্তু কীভাবে আগুন লাগল?
সূত্রের খবর, স্কুলের যে আবাসিক ঘরগুলি রয়েছে সেখান থেকেই প্রথমে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এরপর ক্রমেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এরপর ক্রমেই সেই আগুন অন্য ঘরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এদিকে ওই ঘরে পড়ুয়াদের বিছানাপত্তর ও স্কুলের বই রাখা ছিল। সেখানে আগুন ধরে যায়। এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়েই আতঙ্কে কান্নাকাটি শুরু করে দেয় ছাত্রীরা। তাদের পাশের ক্লাবঘরে আশ্রয় দেওয়া হয়। বহু জিনিসপত্র পুড়ে গিয়েছে। অভিভাবকদের মধ্য়ে চরম উদ্বেগ ও চরম আতঙ্ক ছড়ায়।
সূত্রের খবর, স্কুলের উপরতলায় প্রথমে আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে যে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে পড়ুয়াদের দ্রুত নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শিক্ষকদের থাকার জায়গাও পাশেই ছিল। সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারত। তবে আগুন লাগার পরেই পড়ুয়াদের পাশে ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাদের নিরাপদে রাখা হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে স্কুলের পাশে যে হোম রয়েছে সেখানে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগে। এরপর আগুন ক্রমে ছড়িয়ে পড়ছিল। তিনতলায় হোমের মোট আটটি ঘর রয়েছে। সেখানে দুটি ঘর পুড়ে গিয়েছে। তবে ঘণ্টাখানেকের মধ্য়েই আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্কুলের এক ছাত্রী বলেন, ক্লাস করছিলাম। আচমকা ধোঁয়া বের হচ্ছিল। আমরা সব ছুটে বেরিয়ে যাই। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছি।এদিন আতঙ্কে কাঁদতে শুরু করে ছাত্রীরা।
স্কুলের এক অভিভাবিকা তনিমা দাস বলেন, স্কুলে আগুন লেগে গিয়েছে খবর পেয়েই ছুটে আসি। প্রথমে বাচ্চা পাচ্ছিলাম না। পরে দেখি ক্লাবে রয়েছে। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছি।