বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেল হাওড়ার প্লাস্টিক কারখানা। স্থানীয় সূত্রে খবর, দাহ্য পদার্থে ঠাসা ছিল কারখানাটি। রবিবার রাতে আচমকাই আগুন লেগে যায় কারখানায়। এদিকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। দাহ্য পদার্থে আগুন ধরে যাওয়ায় তা দ্রুত ছড়াতে থাকে।বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। এরপর দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে আগুন নেভাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে দমকল।
তবে সেই সময়ই আচমকাই বৃষ্টি নামে এলাকায়। আর ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির জেরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকটাই সুবিধা হয়। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক সময় লেগে যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে গিয়েছিল। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও কারখানার একটা বড় অংশ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে আগুনে।
এদিকে শুধু হাওড়াতেই নয়, কলকাতার একাধিক জায়গাতেই রবিবার গভীর রাতে আগুন লাগে। তখন ঘড়িতে রাত প্রায় ১টা বাজে। আচমকাই মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডের একটি চটের গুদাম থেকে আগুনের শিখা দেখতে পান। বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরবর্তী সময় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই রাতেই পোস্তার শুকলাল জহুরি রোডে কাপড়ের গুদামেও আগুন লেগে যায়। ৬টা ইঞ্জিন ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।