করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে এবার ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ ও ‘সেফ হোম’ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। কমপক্ষে ২০০০ শয্যার সেফ হোম তৈরি করার ঘোষণা করলেন পুর ও নগোরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
সোমবার আলিপুরের উত্তীর্ণে করোনা মোকাবিলার নীল নক্সা তৈরি করতে দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, রাজ্যে আরও বেশ কিছু ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ ও ‘সেফ হোম’ তৈরি করা হবে। এমনকী, যে ভবনে বৈঠক, সেই উত্তীর্ণতেও ৫০০ শয্যার ‘সেফ হোম’ তৈরি করার ভাবনা চিন্তা করছে প্রশাসন। পাশাপাশি, কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে ৫০০,আনন্দপুরে ৭০০ ও গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ২০০ শয্যার ‘সেফ হোম’ তৈরির কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। একই পরিকাঠামো রাজারহাটেও তৈরি করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে কমপক্ষে ২০০০ শয্যার আয়োজন করতে চাইছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার থেকেই সমস্ত ব্যবস্থার আয়োজন শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ করোনার বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধে নেমে পড়লাম। এখন প্রশাসনের একটাই নীতি, মানুষকে বাঁচাও, মানুষের জন্য রাজনীতি। করোনা প্রতিরোধ করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।’
সেফ হোমের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে ৫০০, উত্তীর্ণতে ৫০০, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ২০০, আনন্দপুরে ৭০০ বেড নিয়ে ‘সেফ হোম’ তৈরি করা হবে।’
করোনার সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করবে রাজ্য তার ব্যাখ্যা দিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘ এখানে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে কাজ করা হবে। এই সেফ হোমগুলোর সামনে ১০ টি অ্যাম্বুল্যান্স সব সময় দাঁড়িয়ে থাকবে। প্রথমে আক্রান্তকে ‘সেফ হোম’-এ আনা হবে। সেখানে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, রোগীকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। সুস্থ হলেও নজরদারি রাখার জন্য আবার রোগীকে ‘সেফ হোম’-এ ফিরিয়ে আনা হবে। যুদ্ধকালীন তৎপরতা স্যানিটাইজ করা হবে। শুধু তাই নয়, মাস্ক থেকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, সব নিয়ে প্রচারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি আধিকারিকদের।’
করোনার সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করবে রাজ্য তার ব্যাখ্যা দিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘ এখানে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে কাজ করা হবে। এই সেফ হোমগুলোর সামনে ১০ টি অ্যাম্বুল্যান্স সব সময় দাঁড়িয়ে থাকবে। প্রথমে আক্রান্তকে ‘সেফ হোম’-এ আনা হবে। সেখানে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, রোগীকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। সুস্থ হলেও নজরদারি রাখার জন্য আবার রোগীকে ‘সেফ হোম’-এ ফিরিয়ে আনা হবে। যুদ্ধকালীন তৎপরতা স্যানিটাইজ করা হবে। শুধু তাই নয়, মাস্ক থেকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, সব নিয়ে প্রচারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি আধিকারিকদের।’
|#+|