২১ জুলাই ধৈর্য হারিয়ে আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। শনিবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম বিশ্বস্ত সৈনিক ফিরহাদ হাকিম। এদিন প্রদেশ মহিলা কংগ্রেস নেত্রী সুব্রতা দত্তের একটি বিতর্কিত মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একথ বলেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এতদিন যে কংগ্রেস ও তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেদিন বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছিল পুলিশ, তা কি মিথ্যা।
শুক্রবার বিকেলে বীরভূমের হাসন বিধানসভায় এক পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশকে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার নিদান দেন প্রদেশ মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী সুব্রতা দত্ত। সেই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘এই কথাটা কখনোই একজন নেত্রী বলতে পারেনা। সমাজ বিরোধী তারা এই কথাগুলো বলতে পারে। অভিষেকের গুলি মারার কথাটা একটা কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছিল সেটাকে নিয়ে এখন রাজনীতি করা হচ্ছে'।
তিনি বলেন, ‘(পড়ুন অভিষেক বলেছিলেন) যে পুলিশকে সহ্য করার জন্য ধন্যবাদ। সেখানে যে ভাবে বিজেপির মারে পুলিশ আক্রান্ত হয়েছিল তাতে ধৈর্য হারিয়ে গেলে (কপালের মাঝখান দেখিয়ে) এখানেও গুলি করত। যেটা হয়তো এর আগে করেছে, ২১ জুলাই আমাদের ওপর গুলি করেছে। বিভিন্ন জায়গায় করেছে। সেটা একটা পরিপ্রেক্ষিত। আর এটা হচ্ছে উস্কানি দেওয়া। এক্ষুণি এর বিরুদ্ধে কেস শুরু করে এই উস্কানির বিরুদ্ধে গ্রেফতার করা উচিত বলে আমি মনে করি’।
প্রশ্ন উঠছে তাহলে, ফিরহাদ হাকিম কি স্বীকার করছেন ২১ জুলাই ধৈর্য হারিয়ে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ? তাহলে কি বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানোর অভিযোগ করা হয়েছিল রাজনৈতিক স্বার্থে? ক্ষমতায় এসে ২১ জুলাইয়ের গুলিচালনার ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠন করেছিল মমতা সরকার। সেই কমিটির রিপোর্ট আজও প্রকাশ্যে আনেনি তারা।