আনলক পর্বে ধীরে ধীরে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক সভা–সমাবেশ। তার মধ্যেই যুযুধান দু’পক্ষ যেভাবে একে অপরকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে তাতে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। কারণ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, তৃণমূলকে 'খুচরো দল' বলে কটাক্ষ করেছিলেন। আর বিজেপিকে 'পাইকারি দল' বলে পালটা আক্রমণ করেছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই পরিস্থিতিতে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে।
ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এমনকী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর শুভেন্দুকেও বার্তা দিয়েছেন বিজেপির নেতারা। শনিবার দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, ‘একমাস পরে দেখবেন তৃণমূল পার্টি বলে কিছু থাকবে না। আমরা হোলসেল করছি। ওদের রিটেল চলছে না।’ আর ফিরহাদ হাকিম পালটা বলেন, ‘বিজেপি হল পাইকারি দল। ঝালমুড়ির মতো তৃণমূল থেকে নেওয়া লোককে নিয়ে পাইকারি দল বানাচ্ছে বিজেপি। বাংলায় কিছু করতে পারবে না। যে দলের কোনও নীতি আদর্শ নেই, সেই দলের উপরে মানুষ ভরসা করে না।’
দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, 'একমাসের মধ্যে তৃণমূল দলটা শেষ হয়ে যাবে। এটা ঠিক আমরা হোলসেল করছি। ওদের রিটেল চলছে না। সব খদ্দের এখানে চলে আসছে। ওদের ভাবা উচিত।' এই মন্তব্যেরও জবাব দিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘ও স্বপ্ন দেখছে। পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়!’ আর দিলীপ বলেন, ‘উনি কবে পার্টি ছাড়বেন? এটা আগে জিজ্ঞেস করুন। সৌগত রায়ের নাম নিয়েছেন অর্জুন সিং। কতবার সাফাই দিয়েছেন উনি! যাঁরা ছাড়ছেন আগে থেকে বলেন না। চলে গেলে তবেই তারিখটা জানা যায়।’
সুতরাং এই কাদা ছোঁড়াছুড়ি থেকে স্পষ্ট শাসক–বিরোধী আক্রমণ আরও বাড়বে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নন। এই পরিস্থিতির মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, 'আমার যত দূর জানা আছে এখনও বিজেপি’র নাম উচ্চারণ করেননি উনি। এখনও তৃণমূল ছাড়েননি। মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়, ইচ্ছা–অনিচ্ছা, ক্ষোভ–বিক্ষোভ আছে। যতক্ষণ না তৃণমূল ছাড়ছেন, ততক্ষণ বিজেপির ইন্টারেস্ট নেই। আগে উনি দল ছাড়ুন। বিজেপির ঝান্ডার তলায় কাজ করতে চাইলে তাঁর মতো বড় নেতাকে স্বাগত জানাব। একটা পার্টি যার মন্ত্রী আছে, বিধায়ক–সাংসদরা আছে। কিন্তু তাঁরা পালিয়ে যাচ্ছেন। তাহলে দলের কতটা দুরবস্থা ভাবুন!'