কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে গুজরাতের সংস্থাকে বরাত, বাংলাকে বঞ্চনা? সরব ফিরহাদ

কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রাক্কালে টেন্ডার বিতর্কে উত্তপ্ত হল রাজ্য রাজনীতি। ফের বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ উঠল। বুধবার বিধানসভায় রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এনিয়ে সরব হন। তিনি অভিযোগ করেন, উপনির্বাচনের কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে গুজরাতের একটি সংস্থাকে। তবে সেই টেন্ডারে অংশ নেওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের সংস্থাগুলিকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কমিশন বাংলার সংস্থাগুলিকে কেন উপেক্ষা করল? তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।

মন্ত্রী জানান, নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তি বা লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য নির্বাচন কমিশন টেন্ডার ডেকেছিল। সেখানে একাধিক বাঙালি সংস্থা টেন্ডার জমা দিলেও চূড়ান্ত বরাত যায় গুজরাতের এক সংস্থার হাতে। বিষয়টি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উঠছে স্বচ্ছতা ও স্থানীয় উদ্যোগকে সম্মান না জানানো নিয়ে প্রশ্ন। বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন।

প্রসঙ্গত, আগামীকাল ১৯ জুন কালীগঞ্জে উপনির্বাচন হতে চলেছে। আগে এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তৃণমূলের নাসিরুদ্দিন আহমেদ। মাস খানেক আগে তাঁর মৃত্যু হয়। তারফলে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন জরুরি হয়ে ওঠে। এই উপনির্বাচনে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী হয়েছেন নাসিরুদ্দিনের কন্যা আলিফা আহমেদ। অন্যদিকে, আসনটি কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে দিয়েছে বামফ্রন্ট। বামেদের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন কাবিলউদ্দিন শেখ। আর বিজেপির টিকিটে লড়ছেন আশিস ঘোষ। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরের দিন থেকেই প্রচারে নামতে দেখা যায় আলিফাকে। তৃণমূলের দাবি, এই বিধানসভা এলাকায় প্রচারের দিক দিয়ে আলিফা বিজেপি এবং কংগ্রেস প্রার্থীর থেকে অনেকটা এগিয়ে। মঙ্গলবার শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার। শেষ দিনে আলিফার সমর্থনে ভোট প্রচার করতে এসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। ভোটে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। মার্জিন বাড়ানোটাই এখন তাদের লক্ষ্য। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে শেষ দিন এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।