Firhad Hakim: ‘চরিত্রের ঠিক নেই, আগেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল’ শপথ বিতর্কে বোসকে আক্রমণ ফিরহাদের

ফিরহাদ হাকিম জানান, তিনি নিজেও ২০০৯ সালে উপ নির্বাচনে জয়ী হয়ে এই বিধানসভায় এসেছিলেন। সেই সময় রাজ্যপালের অনুমতিতে ফল বেরোনোর ৭-৮ দিন পরে বিধানসভার স্পিকার তাঁকে শপথ পাঠ করান। এরপরেই বিধানসভার স্পিকারের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে বলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন ফিরহাদ।

নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এই মুহূর্তে তুঙ্গে। দু’জনের মধ্যে শুধু বরাহনগরের নতুন নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আগামী ২৬ জুন রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তবে সায়ন্তিকা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি রাজভবনে যাবেন না। বিধানসভাতেই শপথ নেবেন। এই মর্মে রাজ্যপালকে চিঠিও পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে, ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকারকে ডেকে পাঠাননি রাজ্যপাল। সেই বিতর্কের মধ্যেই এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি রাজ্যপালকে ‘চরিত্রহীন’, ‘দালাল’ বলার পাশাপাশি ‘বাঁদর নাচ করছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন।

বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, তিনি নিজেও ২০০৯ সালে উপ নির্বাচনে জয়ী হয়ে  এই বিধানসভায় এসেছিলেন। সেই সময় রাজ্যপালের অনুমতিতে ফল বেরোনোর ৭-৮ দিন পরে বিধানসভার স্পিকার তাঁকে শপথ পাঠ করান। এরপরেই বিধানসভার স্পিকারের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে বলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘স্পিকার হল বিধানসভার কাস্টোডিয়ান। কিন্তু, প্রত্যেকবার অসভ্যতা চূড়ান্ত করে স্পিকারের সেই অধিকারকে খর্ব করে নির্বাচনী পদ্ধতিকে অবমাননা করা হচ্ছে। শুধু গায়ের জোরে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই মোটা লোকটার অঙ্গুলিহেলনে এই রাজ্যপাল বাঁদরের নাচ নাচছেন।’

সম্প্রতি নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। সেই রেশ ধরে বোসকে আক্রমণ করে ফিরহাদ বলেন, ‘যে গভর্নরের চরিত্রের ঠিক নেই, নারী নির্যাতনের একটা অভিযোগ এল আর সেই রাজ্যপাল এখনও পদে আছেন। আমি যদি ওনার জায়গায় থাকতাম আমি আগেই পদত্যাগ করতাম। বিধায়কদের শপথের কথা মনে করিয়ে ফিরহাদ আরও বলেন, ‘স্পিকার আমাদের শপথ করান। স্পিকারের অধীনে থেকে আমরা কাজ করি। বছরের পর বছর ধরে এটা চলে আসছে। এটাই নিয়ম। কিন্তু, রাজ্যপাল মানুষকে অপমান করছেন। মানুষের রায়ের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।’ 

শপথ নিতে না পারায় বিধায়কদের সমস্যার কথা জানিয়ে ফিরহাদ জানান, যতক্ষণ না পর্যন্ত শপথ নিতে পারছেন ততক্ষণ পর্যন্ত একজন বিধায়ক সেখানে মানুষের পরিষেবা দিতে পারবেন না। অথচ মানুষ তাঁকে নির্বাচন করে পাঠিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই শপথ নিয়ে আগে কোনওদিন কোনও খবর হয়নি। কারণ এই নিয়ে আগে কখনও কোনওদিন বিতর্ক তৈরি হয়নি।' এরজন্য বিজেপিকে দায়ী করে রাজ্যপালকে দালাল বলে কটাক্ষ করেন ফিরহাদ।