শান্তিনিকেতনে প্রতিবেশী মহিলার হাতে শিশু খুনের ঘটনায় অহেতুক পুলিশকে দোষারোপ করছে বিজেপি। শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করছে তারা। এমনই দাবি করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বুধবার এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। ওদিকে শান্তিনিকেতনে নিহত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধা পান বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এর পর থানার সামনে অবস্থানে বসেন তিনি।
বুধবার বিকেলে বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করলে তো মুশকিল। এখানে প্রশাসনের কী করণীয় আছে? বা পুলিশ কী করবে? ধরেছে তো পুলিশই। প্রত্যেক মানুষের পিছনে একজন করে পুলিশ দাঁড় করানো সম্ভব? একটা পারিবারিক হিংসার থেকে এই অপরাধটা হয়েছে। যে অপরাধ করেছে গ্রেফতার হবে। বিচারব্যবস্থার সামনে আসবে। তাকে কঠোরতম শাস্তি দেব। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু সেটা রাজ্যের বা পুলিশের ঘাড়ে ফেলে দেওয়া এটা অন্যায়’।
অকল্পনীয় দুর্নীতি! প্রাথমিক TET-এ CBI রিপোর্ট দেখে বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে তিনি বলেন, ‘সিবিআই কত কেস করবে? শেষে সিবিআই হোঁচট খেয়ে পড়বে’।
গত রবিবার শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ৪ বছরের শিবম ঠাকুর। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবেশী রুবি বিবির বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির দেহ।
বলে রাখি, বাম জমানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিকবার বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করার অভিযোগ উঠেছে। জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের হাতে মৃত ব্যক্তিদের দেহ কলকাতা শহরে এনে শব মিছিল করিয়েছিলেন তিনি। এমনকী সিঙুরে বাম সরকার অনিচ্ছুক চাষিদের জমি ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিলেও আন্দোলন প্রত্যাহার করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে রাজ্য ছাড়তে হয় টাটা কারখানাকে। তখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।