কলকাতায় ম্যানহোলে পড়ে প্রৌঢ়ের মৃত্যুতে তুঙ্গে তরজা। তৃণমূলের দাবি, ম্যানহোলের ঢাকনা দিলেই তা চুরি হয়ে যায়। বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারি গাফিলতির জেরেই এই মৃত্যু।
শুক্রবার রাতে দমদম সেভেন ট্যাঙ্ক এলাকায় একটি খোলা ম্যানহোলে পড়ে মৃত্যু হয় এক অটোচালকের। রঞ্জন সাহা নামে ওই ব্যক্তি পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে সরকারি চাকরির দাবিতে সরব হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত দমদম সেভেন ট্যাঙ্ক এলাকায় খোলা ম্যানহোলে পড়ে প্রৌঢ়ের মৃত্যু নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ওই নর্দমাটি দেখভালের দায়িত্ব পূর্ত দফতরে। ম্যানহোল ঢাকতে বলে তাদের চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। ম্যানহোলটি স্থানীয় মানুষ প্রাতঃকৃত্য করতে ব্যবহার করেন। তাছাড়া ৪ ফুট গভীর নর্দমায় পড়ে কী ভাবে ব্যক্তির মৃত্যু হল তার তদন্তের প্রয়োজন।
কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলরের দাবি, ওই ম্যানহোলে ঢাকনা দিয়েছিল পূর্ত দফতর। সেই ঢাকনা গত ছমাসে একাধিকবার চুরি হয়েছে। কতবার ম্যানহোল ঢাকবে তারা?
ওদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় তৃণমূলকে বিঁধে বলেন, ক্ষমতায় আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন কলকাতাকে লন্ডন বানাবেন। লন্ডনে কারও ম্যানহোলে পড়ে মৃত্যু হয় বলে জানা নেই। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এই মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। গোটা রাজ্যটাকেই তো ম্যানহোলে পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।