চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে গতবারের থেকে বেশি আসন জিতেছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গেও বিজেপির কাছ থেকে একটি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু, সার্বিক ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট নন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। কারণ পুরসভার নিরিখে দিনহাটায় ২ হাজার ভোটে হেরেছে তৃণমূল। এই নিয়ে দলের কাউন্সিলরদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উদয়ন। তিনি মন্তব্য করেছে, কাউন্সিলররা জোর না করে, হুমকি না-দিয়ে সাধু সেজে নির্বাচনী প্রচার করেছেন। সেই জন্যই দিনহাটা পুরসভায় তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। এবার সেই মন্তব্য নিয়ে দ্বিমত পোষণ করলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: ‘লোকেদের থেকে টাকা নেবেন, মদ মাংস খাবেন আর ভুক্তভুগী হবে দল?’ বার্তা উদয়নের
কলকাতার মেয়র বলেন, ‘গণতন্ত্র এমন একটা জিনিস যেখানে জোর জবরদস্তি করে কিছু হয় না। মানুষের কাছে গিয়ে বোঝাতে হবে। ভালো কাজ করে মানুষের মন জয় করতে হবে। এটাই গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ। উদয়ন গুহ কী বলেছেন জানি না। তবে যে যত ভালো কাজ করে তাকেই মানুষ বেছে নেয়।’ ফিরহাদ হাকিম জানান, ৫০ শতাংশ মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। এবার বাকি ৫০ শতাংশ মানুষকে আরও বোঝাতে হবে।
পুরমন্ত্রী মনে করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের মন জয় করেছেন বলেই তিনবারের জন্য মানুষ তাঁকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন। এবারও মানুষ উজার করে ভোট দিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে নিশানা করে ফিরহাদ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেরেছেন অধীর বাবু পারেননি, শুভেন্দু পারেননি শুধু হুংকার দিয়েছেন। আর ইডি সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়েছে। মানুষ তাদের গ্রহণ করেনি।’
প্রসঙ্গত, উদয়ন গুহ আরও বলেছিলেন, লোকসভায় যারা সাধু হয়ে ছিলেন সেই কাউন্সিলররা পুরসভার ভোট সেইভাবে করবেন কি না সেটা তিনি দেখবেন। এছাড়াও, কোচবিহার শহরে, দিনহাটা শহরে ভোটে হারের পিছনে তৃণমূলের কমিটিকেও দায়ী করেছেন তিনি। তবে এই হারের জন্য দিনহাটা পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলরকেই বেশি দায়ী করছেন উদয়ন। তিনি দাবি করেছেন, ওই সব কাউন্সিলরদের সাধু মনোভাবের জন্যই সেখানে তৃণমূল হেরেছে।