ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ফিরহাদ হাকিমকে। তাঁর জায়গায় আনা হল তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে। যদিও সংবাদমাধ্যমকে ফিরহাদ জানিয়েছেন, এক বছর আগেই তিনি ওই পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। এতদিন জেলাশাসক ওই পদ সামলেছেন। দায়িত্ব পেয়েই বুধবার ফুরফুরা শরিফ যাচ্ছেন তপন দাসগুপ্ত।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর, সংখ্যালঘুদের সমর্থন নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি জানতে চান সংখ্যালঘুরা কি সত্যিই তৃণমূলের থেকে মুখ ঘোরাচ্ছে? যদি তেমন হয়ে থাকে তবে তাঁর কারণ খুঁজতে নির্দেশ দেন বৈঠকে। তার পরপরই এই রদবদল। প্রসঙ্গত, ফুরফুরা শরিফের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই ২০১১ সালে ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করা হয়েছিল। ২০২১ সালে যার দায়িত্বে আসেন ফিরহাদ হাকিম। এক বছর আগেই তিনি এই দায়িত্ব থেকে সরে এসেছেন। সূত্রের খবর, এমন কি হুগলির বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে তিনিই ফোন করে এই দায়িত্বের খবর জানান।
প্রশ্ন উঠছে শুরুটা কেন ফুরফুরা শরিফ থেকে করা হল? রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, সম্প্রতি আইএফএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে নেতিবাচক প্রভাব ছড়িয়ে ফুরফুরা শরিফ অনুগামী মুসলিমদের মধ্যে। দিন কয়েক সাগরদিঘির ফল নিয়ে রাজ্য সরকারকে সতর্ক করেন পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। তিনি বলেন, ' মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক হোন, না হলে রাজ্য জুড়ে সাগরদিঘি হবে'। এই পরিস্থিতিতে উন্নয়নকেই হাতিয়ার করছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে লক্ষ্যে ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদকে আরও সক্রিয় করতে চাইছেন তিনি।