কলকাতা পুরনিগমের ইতিহাসে এই প্রথমবার প্রশাসক বসানো হতে চলেছে। আর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রশাসক হচ্ছেন বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ নিয়ে আজ নির্দেশিকা জারি করবে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। নবান্ন সূত্রে এমন খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন : Lockdown 3.0: কলকাতার কোন কোন এলাকা ‘কনটেনমেন্ট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত, দেখে নিন পুরো তালিকা
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট সময় পুরভোট করা সম্ভবপর হয়নি। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ২০১৫ সালে গঠিত পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। এই অবস্থায় কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ জানান, পুরনিগমে প্রশাসক বসানোর পথে রাজ্য হাঁটছে রাজ্য।
আরও পড়ুন : Lockdown 3.0: অনলাইনে বুক করলে বাড়িতে বসেই মিলবে মদ, ভিড় এড়াতে রাজ্যে চালু সুরা-কুপন
সূত্রের খবর, ১৪ সদস্যের প্রশাসকমণ্ডলী বসানো হবে। তাতে বর্তমান বোর্ডের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও ১২ জন মেয়র পারিষদ থাকবেন। তবে চেয়ারপার্সন, বরো চেয়ারম্যানের মতো পদগুলি থাকছে না। কাউন্সিলরদের ভূমিকা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও নবান্ন সূত্রে খবর, এখন থেকে কাউন্সিলররা আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন না। বরং তাঁরা নিজেদের এলাকায় পুরনিগমের প্রতিনিধি হবেন।
আরও পড়ুন : কলকাতায় খোঁজ মিলল Covid-19 পরীক্ষার ভুয়ো ল্যাবরেটরির
তবে কোনও আমলা বা সরকারি আধিকারিকের পরিবর্তে বর্তমান পুরবোর্ডের সদস্যের প্রশাসকমণ্ডলীতে ঠাঁই দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, ফিরহাদকে প্রশাসক পদে বসানোর ছক আগে থেকেই কষে রাখা হয়েছিল। আগেও অনেক পুরসভার নির্বাচন করানো হয়নি। এখন করোনা পরিস্থিতিকে ঢাল করে কলকাতা পুরনিগমেও একই কাজ করা হচ্ছে। নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে তৃণমূল ভোট করতে ভয় পায় বলে দাবি করেছেন দিলীপ। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে অধিকাংশ দলই পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিল। সেইমতো পুরভোট স্থগিত রাখে কমিশন।
আরও পড়ুন : Covid-19 Updates: কয়েকটি রাজ্য গোপন করা তথ্য দেওয়ায় আক্রান্ত-মৃত বেড়েছে, নাম না করে বাংলাকে তোপ কেন্দ্রের