রাজ্যে চালু যে সমস্ত প্রকল্পে রাজ্য সরকার টাকা দেয় তাতে মুখ্যমন্ত্রীর নামের উল্লেখ করতে হবে। সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানালেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে আসলে রাজ্যের গরিব মানুষকে টাইট দিচ্ছে মোদী সরকার।
এদিন ফিরহাদ বলেন, রাজ্যে এমন বহু প্রকল্প রয়েছে যেখানে রাজ্য সরকার ৫০ – ৭৫ শতাংশ টাকা দিচ্ছে। আর কেন্দ্র যে বাকি টাকা দিচ্ছে তাও তারা তুলে নিয়ে যায় রাজ্য থেকেই। তাহলে সেই প্রকল্পের মুখ্যমন্ত্রীর নাম থাকবে না কেন? আমাদের টাকাই আমাদের পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে বায়না জুড়েছে বিজেপি। হুমকি দিচ্ছে সমস্ত বরাদ্দ বন্ধ করে দেবে। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে।
তাঁকে বলতে শোনা যায়, ১০০ দিনের টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভাবছে আমাদের খুব টাইট দিয়েছে। আসলে টাইট দিচ্ছেন রাজ্যের হাজার হাজার গরিব মজদুরকে, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষকে। মস্তানি করে, চিৎকার করে রাজনীতি হয় না।
রাজ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প নাম বদল করে চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। এর পরই কেন্দ্রের দেওয়া নাম চালু না করলে প্রকল্পের টাকা আটকে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল।
তবে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা বন্ধ করার কারণ আলাদা। সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কোথাও মেশিন দিয়ে কাজ করিয়ে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। কোথাও ভুয়ো জবকার্ডের টাকা ঢুকেছে তৃণমূল নেতার অ্যাকাউন্টে। কোথাও আবার কাজ না করিয়েই ফলক লাগিয়ে টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। সব হিসাব না দিলে এই প্রকল্পের বরাদ্দ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
এই নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের প্রতিক্রিয়া, পঞ্চায়েত ভোটের আগে পঞ্চায়েতে চুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই ছটফট করছেন তৃণমূল নেতারা।