আকালের জেরে ইতিমধ্যেই কোভ্যাক্সিন দেওয়া বন্ধ হয়েছে কলকাতায়। জেলায় জেলায় চিত্রটাও এই একই। কলকাতার ৩৯টি কেন্দ্রে কোভ্যাক্সিন দেওয়া বন্ধ হয়েছে শুক্রবারই। বৃহস্পতিবার আচমকাই এই সংক্রান্ত ঘোষণা করেছিলেন অতীন ঘোষ। পৌরনিগমের তরফে দাবি করা হয়েছে যে রাজ্যে কোভ্যাক্সিন পাঠানো হচ্ছে না কেন্দ্রের তরফে। এই পরিস্থিতে ফের কবে কোভ্যাক্সিন দেওয়া শুরু হবে, তা জানা নেই স্বয়ং ফিরহাদ হাকিমেরও। এদিকে এই আকালের জেরে চরম সঙ্কটে পড়েছেন বহু মানুষ। অনেক মানুষেরই দ্বিতীয় ডোজের টিকা বাকি। এর জেরে ঘোষণা সত্ত্বেও শুক্রবার বহু মানুষ কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ পেতে টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। এই আবহে মন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, রাজ্যের হাতে এই বিষয়টি নেই।
শুক্রবার এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, 'কোভ্যাক্সিনের বিষয়টি রাজ্যের হাতে নেই। তাই কলকাতা পৌরনিগমও কোভ্যাক্সিন দিতে পারছে না। কেন্দ্র কবে টিকা দেবে আমার জানা নেই। যদি শনিবার রাতে রাজ্যে কোভ্যাক্সিন এসে পৌঁছায় তাহলে আবার সোমবার থেকে এই টিকা দেওয়া হতে পারে।'
এদিকে টিকাকরণ প্রক্রিয়া আরও মসৃণ করতে এবার আগেরদিন সন্ধ্যাতেই টিকার কুন দেওয়ার কথা জানান ফিরহাদ। পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক এই বিষয়ে বলেন, 'আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে কলকাতায় আপাতত ১৮টি মেগা সেন্টারে টিকাকরণ চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। এরপর সেখান থেকে আগামীকালের টিকাকরণে কুপন দেওয়া হবে। তবে কুপন জালিয়াতির একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই যাঁরা কুপন পাবেন, তাঁদের আধার এবং ভোটার কার্ডের অরিজিনাল এবং ফটোকপি আনতে হবে। তাতে স্ট্যাম্প মারা হবে।'
তাছাড়া এদিন ফিরহাদ হাকিম জানান এখন থেকে প্রতিটি মেগা সেন্টারে মোতায়েন থাকবে পুলিশ। এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্টেশনগুলিকে। এদিকে পরবর্তীতে কলকাতার বাকি ১৪৮টি ছোট সেন্টারেও কুপন ব্যবস্থা চালু করা হতে পারে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম। তবে সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মেগা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা দেখার পর।