আজ একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর বাম সন্ত্রাশের কথা মনে করালেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ দাবি করেন, একাধিকবার মমতা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে মমতার ওপর বামেদের হামলার কথা তুলে ধরেন ফিরহাদ। সঙ্গে ফিরহাদ দল নিয়েও বার্তা দেন। তাঁর কথায়, বিলাসিতা করতে যেন কেউ তৃণমূল না করে।
আজ ফিরহাদ বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর লড়াই করছেন। রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। দেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাধারণ মানুষ, তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা লড়াইয়ে আছেন। তৃণমূল শুধু মিটিং মিছিল করে সিপিএমকে বাংলা থেকে দূর করেনি। অনেক রক্ত, অনেক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বাংলাকে সিপিএম মুক্ত করেছে। তাই এই দল কারও কাছে বিলাসের জিনিস নয়, যাঁরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁদের জন্য তৃণমূল। মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করার কথাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিখিয়েছেন।'
এরপর ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, 'একাধিক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আক্রমণ হয়েছে। সিপিএমের গুন্ডারা হাজরা মোড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। আঘাতটা আর এক সেন্টিমিটার হলে তিনি আজ আমাদের মধ্যে তিনি থাকতেন না। গার্ডেনরিচেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কতে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। একজন হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। নন্দীগ্রামে মমতাকে গুলি করে মারার ষড়যন্ত্র হয়। সিঙ্গুরেও নেত্রীর আক্রমণ হয়েছিল। ২৬ দিন ধর্মতলায় অনশন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কিছু সময় সেই অনশন চললে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতির অনেক অবনতি হত। তিনি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন।'
এদিকে আজ একুশের মঞ্চ থেকে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের সুর বেঁধে দিয়ে বর্ষীয়ান এবং তরুণদের একসঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দিলেন অভিষেক। তৃণমূল সেনাপতি বলেন, 'পুরনোদের অভিজ্ঞতা ও তরুণদের উদ্দীপনা - দুটিই তৃণমূলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুটি বৃন্ত তৃণমূলের।' অভিষেক আরও বলেন, 'এখন থেকেই ছাব্বিশের প্রস্তুতি নিতে হবে। পুরসভা, পঞ্চায়েতে যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের বলছি যে কর্মীদের কথা ভাবতে হবে। আমি নির্বাচনের আগেই বলেছিলাম যে ভোটের ফল খারাপ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিজের নির্বাচনে যে পরিশ্রমটা করেন, সেটা বাকি নির্বাচনেও করতে হবে।' তাঁর কথায়, 'লোকসভায় তৃণমূলের ২৯ জন সাংসদ আছেন। রাজ্যসভা মিলিয়ে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল হল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৬ সাল এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের থেকেও বড় ব্যবধানে জিততে হবে।'