ক্যানিংয়ে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ৩ তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায় মুখ বাঁচাতে মরিয়া শাসকদল। একদিকে মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারের মা যখন বলছেন, ছেলে তৃণমূল করত, তখন এই ঘটনায় বিজেপির চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এমনকী এই ঘটনাতেও ‘বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না’ বলে হাঁক পেড়েছেন তিনি।
এদিন মন্ত্রীমশাই বলেন, ‘এখানে উত্তর প্রদেশের মতো এনকাউন্টার করে আসামীকে মেরে দেওয়া হয় না। পুলিশের কাজ অপরাধীদের গ্রেফতার করে আদালতের সামনে পেশ করা। আদালত এর বিচার করবে। আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চাই দোষীদের শাস্তি চাই’।
গোটা ঘটনার দায় বিজেপির ঘাড়ে ঠেলে ফিরহাদ বলেন, ‘বিজেপি খুনের রাজনীতি করে বাংলাকে গুজরাত বানানোর চেষ্টা করছে। আমরা সেটা করতে দেবো না। খুনের রাজনীতি বাংলায় চলবে না। পুলিশকে বলা হয়েছে খুনিদের খুঁজে বার করে কঠোরতম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মেরে হত্যা করে তৃণমূলকে সরানো যাবে না। তৃণমূল কংগ্রেস আর মমতা ব্যানার্জি মানুষের মনে আছে। যতই তুমি আমাদের খুন করো বাংলা থেকে সরাতে পারবে না’।
তবে মূল অভিযুক্ত রফিকুলের মা আয়েশা সর্দার বলেন, ‘জ্ঞান হওয়া থেকে ওর বাবা ওকে বলে দিয়েছে, তৃণমূল ছাড়া আমরা বাঁচব না। ওর বাপও তৃণমূল করে’।
বৃহস্পতিবার সকালে ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩ তৃণমূলকর্মী খুনের ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় বিধায়কই মেনে নিয়েছেন, দলীয় কোন্দলেই এই খুন। এমনকী খুন যে হতে পারেন তা ৩ দিন আগেই বিধায়ককে জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা স্বপন মাঝি।