সেদিন ঘাম ঝরিয়ে ছিলেন। নিজের সতীর্থের জন্য। আজ সেই ফল হাতে পেয়ে আনন্দে সামিল করলেন সেই সতীর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আর বিধায়কের মধ্যে। নারদ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্রদের। তখন আদালতে ‘মি লর্ড’ বলে যাঁকে ঝাঁঝালো সওয়াল করতে দেখা গিয়েছিল তিনি সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জামিন পাইয়ে দিতে দিন–রাত এক করে দিয়েছিলেন। অবশেষে এসেছিল মুক্তি। সেদিনের কথা ভোলেননি সতীর্থ ফিরহাদ। রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে সেই খুশিতে আইনজীবীর বাড়িতে বিরিয়ানি পাঠালেন। আপ্লুত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তা গ্রহণ করে বললেন, ‘মাই অল টাইম ফেবারিট’।
ফিরহাদ (ববি) হাকিমের জন্য হাকিমি লড়াই আপাতত শেষ হয়েছে। তাই এবার স্বয়ং ফিরহাদের থেকেই তাঁর আইনজীবীর বাড়িতে যায় এক হাঁড়ি গরম বিরিয়ানি। এটা আশা করেননি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তিনি মনে করেছিলেন সতীর্থের জন্য লড়াই তো কর্তব্য। কিন্তু ফিরহাদ তা মনে করেননি। তিনি চেয়েছিলেন তাঁর জন্য এতটা লড়াই করেছেন অগ্রজ। তাই একটু মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা উচিত। এটাই তো থাকবে। তাই বাড়িতে পাঠালেন এক হাঁড়ি গরম বিরিয়ানি। আসলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিরিয়ানি খেতে ভালবাসেন। আর সেই ভালবাসার জিনিসই মুখে তুলে ধরলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক।
তাঁদের বহুদিনের পারস্পরিক পরিচয় ও সম্পর্ক। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বে আবদ্ধ করে রেখেছে। অনেক চড়াই–উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে তাঁরা হেঁটেছেন। রাজনৈতিক সহযোদ্ধা হিসেবে তাঁদের পথ চলা অনেকদিনের। তাই তো বন্ধুবর ফিরহাদের জামিনের জন্য জমিয়ে সওয়াল করেছেন কল্যাণ। শেষ পর্যন্ত সাফল্যও এনেছেন। আর জামিন পেয়েই উচ্ছ্বসিত বন্ধু ববি কল্যাণের বাড়িতে পাঠালেন এক হাঁড়ি গরম বিরিয়ানি। হাতে গরম বিরিয়ানি পেয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘বিরিয়ানি যে বড্ড ভালোবাসি। মাই অল টাইম ফেভারিট।’