কলকাতায় বাড়িওয়ালা - ভাড়াটে বিবাদের জেরে মেরামতির অভাবে ভগ্নপ্রায় প্রায় ১০০ বাড়ি। একথা স্বীকার করে সমস্যা সমাধানের দায় আদালতের কোর্টে ঠেললেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। বুধবার সকালে আহিরিটোলায় পুরনো বাড়ি ভেঙে ২ জনের মৃত্যুর পর ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে একথা বলেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, ক্ষমতায় থেকে নিজেরা আইন না বানিয়ে কেন আদালতের মুখাপেক্ষী সরকার?
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কলকাতায় এমন অন্তত ১০০ বাড়ি রয়েছে যা যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। পুরনো ভাড়াটেরা সেই সব বাড়ি ছাড়তেও চায় না। আর ভাড়া না বাড়ানোয় বাড়িওয়ালা বাড়ি মেরামতের উৎসাহও দেখায় না। যার ফলে এই পরিস্থিতি। আমাদের কোনও কাউন্সিলর সমস্যা সমাধান করতে গেলে তাঁকে প্রোমোটারের এজেন্ট বলা হয়। আমাদের হাতে কোনও আইন নেই যার বলে আমরা কোনও পদক্ষেপ করতে পারি।’
ফিরহাদ বলেন, ভাড়াটেদের অধিকার সুরক্ষিত করতে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছে সরকার। পুরনো ভাড়াটেদের নাম সরকারি খাতায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাদের অনুমতি ছাড়া বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি করার ছাড়পত্র দেয় না পুরসভা। ভাড়াদের জায়গা ছাড়লে ওপরের তলায় বাড়তি নির্মাণের অনুমতিও দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরও ইগোর সমস্যায় কেউ নিজের অবস্থান থেকে সরতে চায় না।
ফিরহাদ বলেন, ‘আদালত যদি আমাদের সাহায্য করে তাহলে আমরা এব্যাপারে পদক্ষেপ করতে পারি। আদালত যদি এব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেয় তাহলে তা মেনে চলবে পুরসভা।’
বিজেপির প্রশ্ন, যে তৃণমূল সরকার প্রায় রোজ আদালতে ভর্ৎসনার শিকার হয় তার এব্যাপারে আদালতের ওপর এত ভরসা কেন। এক বিজেপি নেতা বলেন, আসলে কলকাতা শহরে রয়েছে কয়েক লক্ষ পুরনো ভাড়াটে। তাদের কোনও ভাবেই চটাতে চায় না সরকার। তাতে সাধারণ মানুষের জীবনের ঝুঁকি হোক না কেন। তাই আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ভাড়াটে উচ্ছেদের চেষ্টায় রয়েছে তারা।