তৃণমূল নেতাদের এনকাউন্টার করানো নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। রাজ্য রাজনীতিতে তাঁর এই মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় বয়েছে। এই আবহে এবার স্বপন মজুমদারকে তোপ দেগে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ বিজেপি বিধায়ককে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, এনকাউন্টারের মানসিকতা থাকলে জেলে জায়গা হবে।
এর আগে কল্যাণীর গয়েশপুরে বিদজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতির উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের দিকে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বনগাঁর চাঁদপাড়া বাসস্ট্যান্ডে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। সেখানেই বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিতর্ক উস্কে স্বপবাবু বলেছিলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এলে এই পুলিশ দিয়েই তৃণমূলের হার্মাদদের এনকাউন্টার করা হবে।’
এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপিকে পাল্টা তোপ দেগে ফিরহাদ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গকে কোনওদিন উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাত হতে দেব না। এখানে দাঙ্গার রাজনীতি বা এনকাউন্টার করা যাবে না। কারণ এখানকার মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে গণতান্ত্রিক ও সংবিধানিক উপায়ে সরকার ও প্রশাসনের কাজ হয়। তৃণমূলকে এনকাউন্টার করে মেরে দিতে পারবে না। বিজেপি এখানে কোনওদিন ক্ষমতায় আসবে না। বিজেপি দলটাই ভারতবর্ষ থেকে বেরিয়ে যাবে। যদি এনকাউন্টারের মানসিকতা থাকে তাহলে জেলে জায়গা হবে। উনি (বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার) নিজে পাল্টি খেতে পারেন আশ্রয় পাওয়ার জন্য।’
একইসঙ্গে এদিন রাজ্যপালকেও তোপ দাগেন ফিরহাদ। নেতাই কাণ্ডে মুখ্যসচিবের ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানোয় রাজ্যপালকে তাঁর ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘উপদেশ দিতে হলে মুখ্যমন্ত্রীকে দিন। রাজ্যে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। রাজ্য চালানোর দায়িত্ব তো সেই সরকারের। রাজ্যপাল কে? হলেন সাংবিধানিক প্রধান। প্রশাসন তো চালাবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসন তো রাজ্যপালের জন্য নয়। বারবার প্রশাসনিক কর্তাদের এভাবে তলব করে দয়া করে প্রশাসনের সময় নষ্ট করবেন না।’