‘তাঁরা আমায় কলকাতাকে বাঁচাতে দিল না’, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরিষেবা দিতে না পেরে ডুকরে কেঁদে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর মুখ থেকে একথা উচ্চারণ করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। জামিন পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাজে নেমে পড়লেন তিনি। শুরু করে দিলেন বন্ধ হয়ে যাওয়া ‘টক টু কেএমসি’ পরিষেবা। শুনলেন ভূক্তভোগীদের সমস্যা। তাঁকে অনেকেই তাদের সমস্যার কথাও জানালেন। তাঁদের সমস্যা মিটিয়েও দিলেন তিনি।
অনেক টালবাহানার পর নারদ মামলায় গৃহবন্দি দশা কেটেছে ফিরহাদ হাকিমের। শুক্রবারই জামিন পেয়েছেন তিনি। আর কালবিলম্ব না করে ওই রাতেই ৭৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন তিনি। শনিবারে তারাতলার হাইড রোড পরিদর্শন করে কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন কর্মসূচির খোঁজখবর নেন ফিরহাদ। তারপর দুপুরে ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। একের পর এক ফোন আসতে থাকে তাঁর কাছে। ধরে ধরে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেন ফিরহাদ। সমস্যা মেটানের জন্য কসবার এক বাসিন্দাকে পুরসভায় আসতে বলেন তিনি। আবার করোনা রোগীর বেড পাওয়ার জন্য নিজের ফোন নম্বরও দিয়ে দেন তিনি।
এপ্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘ কলকাতায় ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে, অক্সিজেন পার্লার বাড়ানো হয়েছে, টেস্টও বেড়েছে।’ আয়াদের জন্য নতুন নীতি ঠিক করা হবে বলে জানান তিনি। কারণ, তাঁর ব্যাখ্যা, আয়াদের কোনও পরিচয়পত্র থাকে না। তাই পরিচারিকাদের ক্ষেত্রে নতুন নীতি কী হতে পারে, তা নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে কথা বলবেন।
নিজের বন্দিদশা প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘ আমি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছিলাম। কিন্তু রাস্তায় নেমে কাজ করতে পারিনি। তবে আমার হৃদয় সবসময় মানুষের কাজের জন্যই ছিল।’