অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাস্তায় দেখা মিলল হাতেগোনা বেসরকারি বাসের। সরকারি বাস রাস্তায় নামলেও তাতে বাদুড়ঝোলা ভিড়। তার জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতায় ৪,০০০ সরকারি বাস নামানো হয়েছে। বেসরকারি বাসও রাস্তায় নামানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গত ১৬ মে থেকে রাজ্যে বাস বন্ধ ছিল। দেড় মাস পর ১ জুলাই থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর অনুমতি মিলেছে। সেইমতো রাস্তায় নেমেছে সরকারি বাস। কিন্তু সেভাবে কলকাতার রাস্তায় দেখা নেই বেসরকারি বাসের। হাতেগোনা কয়েকটি মিনিবাস ও বেসরকারি বাস রাস্তায় নেমেছে। তার জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। বিশেষত সরকারি এবং বেসরকারি অফিস খুলে যাওয়ার ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
তেমনই একজন মহেশতলার বাসিন্দা অনির্বাণ ঘোষ। তাঁর দাবি, দীর্ঘক্ষণ বাসের জন্য অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু দেখা মেলেনি কোনও বাসের। একই অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়েছে শহরের অন্যত্রও। হাজরা, শ্যামবাজার, রাসবিহারী - সর্বত্রই বেসরকারি বাসের আকাল। সরকারি বাস থাকলেও তাতে ঠাসা ভিড়।
বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলির বক্তব্য, এমনিতে গত কয়েক মাসে লাগাতার বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। তাতেই নাভিঃশ্বাস উঠছে। তার মধ্যে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চালালে খরচ উঠবে কীভাবে? তাই আপাতত বেসরকারি বাস নামানো হচ্ছে না। বাস চালালে উলটে বেশি লোকসান হবে। ভাড়া বাড়ালে তবেই রাস্তায় বাস নামানো হবে, এমনও জানানো হয়েছে।
যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলিকে বাস নামানোর আর্জি জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কলকাতায় ৪,০০০ সরকারি বাস নামানো হয়েছে। বেসরকারি বাসকেও অনুরোধ করেছি। মানুষের স্বার্থে বাস নামান। সরকার আপনাদের দিকটি দেখছে।’