পূর্ব কলকাতার জলাভূমি রক্ষার জন্য এবার কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। চিঠিতে জলাভূমির জন্য সামগ্রিক পরিকল্পনা তৈরির কথাও জানান তিনি। তবে পরিবেশবিদরা জানান, এই জলাভূমি যাতে জবরদখলকারীদের হাতে চলে না যায়, সেটা আগে নিশ্চিত করুক প্রশাসন। কলকাতা পুরনিগম
পূর্ব কলকাতার এই জলাভূমিকে রক্ষার জন্য সামগ্রিক পরিকল্পনার যে কথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, তাতে ওই জলাভূমিকে কীভাবে বাণিজ্যিক উপায়ে ব্যবহার করা যায়, সেই কথাও বলা হয়েছে। ওই জায়গাকে ব্যবহারের জন্য মৎস্য চাষের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে হাউস বোটের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘কলকাতার পিছন দিকে যে ওয়েট ল্যান্ড রয়েছে, সেটা নিয়ে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা তৈরির কথা বলেছি। জমি পড়ে থাকলে জবরদখল হবে। সেটা যাতে না হয়, সেজন্য একটি কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান দরকার।’ একইসঙ্গে মেয়র জানান, ‘সম্প্রতি জলাভূমি জবরদখল হয়ে যাওয়ার খবর আমার নজরে আসে। আমি বিষয়টি মুখ্যসচিবের নজরে এনে ভাঙাভাঙি করিয়েছি।’
সম্প্রতি পূর্ব কলকাতার জলাভূমির ১০ একর জায়গা বেআইনি জবরদখলের হাত থেকে রক্ষা করেছে ইস্ট কলকাতা ওয়েট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। তাদের এই কাজে সাহায্য করেছে পুলিশ ও কলকাতা পুরনিগম। কলকাতা পুরনিগমের ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের নুরতলা ভেরির একাংশ ভরাট করার চেষ্টা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও প্রশাসনিক উদ্যোগে তা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে পরিবেশবিদদের কথায়, ‘পূর্ব কলকাতার এই জলাভূমি রামসার কনভেনশনের আওতায় পড়ে। ফলে যে প্রস্তাবই দেওয়া হোক না কেন, সেটি রামসার কনভেনশন অনুযায়ী হতে হবে। কলকাতার মেয়র কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রীকে চিঠি দিলেও এক্ষেত্রে কারোর কিছু করার নেই। জলাভূমি ভরাট করা নিয়ে চারশোর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে বিভিন্ন থানায়। আগে সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।’