ভোটযুদ্ধের মধ্যেই রাজনৈতিক সৌজন্যের ছবি ধরা পড়ল ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। সিপিএম ক্যাম্পে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বসে চা খেলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের প্রথম সারির এই তৃণমূল নেতাকে সাদরে গ্রহণ করলেন এলাকার সিপিএম নেতারাও। চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার আগে ফিরহাদের সংক্ষিপ্ত জিজ্ঞাসা, চায়ে চিনি দিয়েছ তো?
এদিন ভবানীপুরের উপনির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবতই তৃণমূল নেত্রীর হয়ে ভোট প্রক্রিয়া ঠিকভাবে চলছে কিনা, তা দেখাশোনা করতে সকাল থেকে ময়দানে নেমে পড়েন ফিরহাদ। এদিন সকালে নিজের এলাকা চেতলায় যখন তিনি ঘুরছিলেন, তখন ওই এলাকার সিপিএম ক্যাম্পেও চলে যান ফিরহাদ। সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এলাকার এক সিপিএম নেতা তাঁকে চা খেতে বললে সব রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে তাঁদের সঙ্গে বসে চায়ের কাপে চুমুকও দেন। সেইসঙ্গে বলেন, ‘আরে আমরা পাড়ার ছেলে। ছোট থেকে বন্ধু। আমার বাবা আর ওর বাবা বন্ধু ছিলেন। রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা থাকতে পারে। তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যক্তিগত জায়গায় থাকবে।’ এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতাও জানান, ‘এখানে তো কোনও গণ্ডগোল হয় না। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক নয়। রিলেশানটা অন্যরকমের।’
এবারে ভবানীপুর কেন্দ্রে কংগ্রেস কোনও প্রার্থী না দিলেও সিপিএমের তরফে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। সিপিএমের হয়ে লড়ছেন বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। ভোট গ্রহণের দিনও সিপিএমের তরফে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূলের পতাকা থাকার অভিযোগ করেছেন। এই অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পরও রাজ্যের মন্ত্রীর এই রাজনৈতিক সৌজন্যের বার্তা রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।