Kolkata Airport: ২১ ঘণ্টা পর পোর্ট ব্লেয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা প্রথম বিমান, ধীরে স্বাভাবিক দমদম বিমানবন্দরের পরিষেবা

Kolkata Airport ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপট থেকে সুরক্ষার স্বার্থে রবিবার দুপুর থেকেই বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। বড় দুর্যোগ কাটতেই সোমবার সকাল থেকে ফের চালু হয়েছে পরিষেবা।

২১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হল কলকাতার বিমান পরিষেবা। সোমবার সকালে দমদমের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথম বিমানটি পোর্ট ব্লেয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বিমান ধরার জন্য যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলেন। আন্তর্জাতিক উড়ানও চালু হয়েছে। তবে দমদম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব বিমানই কিছুটা দেরিতে চলছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপট থেকে সুরক্ষার স্বার্থে রবিবার দুপুর থেকেই বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। বড় দুর্যোগ কাটতেই সোমবার সকাল থেকে ফের চালু হয়েছে পরিষেবা। এদিন সকালেও দেখা গেল, দমদমের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জলে টইটম্বুর। রানওয়েও জলমগ্ন ছিল। তবে তার মধ্যেও উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক করতে তৎপর ছিল কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় বিমানবন্দর।

কিছুটা দেরিতে চলছে বিমান

সোমবার সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রথম উড়ান ছাড়ে। কলকাতা থেকে পোর্ট ব্লেয়ারের উদ্দেশ্যে ইন্ডিগোর বিমানটি রওনা হয়। আর কলকাতায় নামা প্রথম বিমানটি আসে গুয়াহাটি থেকে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে।

এছাড়া চেন্নাই, কোচি, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদগামী বিমান চলাচলও শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, জমে যাওয়া জল দ্রুত সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করা হচ্ছে।

রবিবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ের দাপটে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে অনেক জায়গায়। বিমানবন্দর এবং আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সব কিছুর পরও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিমান চলাচল পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছে।

যাত্রী সুরক্ষার আশ্বাস

যাত্রীদের জন্য একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যারা এদিনের ফ্লাইটে যাত্রা করবেন, তাদের বিমানবন্দরে আগেভাগেই পৌঁছানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ঝড়ের পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি যৌথভাবে কাজ করছে।

এই তৎপরতার মধ্যে দিয়ে দমদম বিমানবন্দর পুনরায় উড়ান চালু করে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। যাত্রীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, সব ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।