তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে প্রায় ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে তোলার অভিযোগ এনেছে বিজেপি। এই অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে তারাই এর জবাব দেবে বলে জানালেন মমতা।
বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'এ নিয়ে আমি কিছু বলব না। এটা ওরা নিজেদের বিষয়। ওরা নিজেরাই বলবে। না জেনে কোনও কিছু নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়। কেউ গিয়ে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারেন। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়েছে। আগে দেখুন অভিযোগ সত্যি কিনা।'
এর আগেই প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে নুসরত এই একই অভিযোগ করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, সংস্থা ঘিরে তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, সেই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে তিনি নিজের ফ্ল্যাট কেনেন, আর তার ঋণ, তিনি সুদ সমেত ফিরিয়েও দেন। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে 'মিডিয়া ট্রায়াল' শুরু হয়ে গিয়েছে।
(পড়তে পারেন। 'ঋণ নিয়েছিলাম, সুদ সমেত ফেরত দিয়েছি', বললেন নুসরত, আধঘণ্টারও কম সময়ের সাংবাদিক সম্মেলনে এড়ালেন বহু প্রশ্ন)
একটি ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এবং বর্তমান কর্মীরা ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার সঙ্গে গিয়ে নুসরতের বিরুদ্ধে ইডি অফিসে অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই অভিযোগ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, 'ইডি যা বলল একতরফা, সিবিআই যা বলল একতরফা। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই অভিযুক্ত হয়ে গেল! অভিযোগ সত্যি হলে আইন আইনের পথে চলবে। আমাকেও কেউ একজন বলছিল, ওদের একজন সাংসদ আছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। কিন্তু জানানো সত্ত্বেও ইডি কিছু করেনি। অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া চলছে। তাই নাম বলব না আমি। কিন্তু সরাসরি চিটফান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। চিটফান্ড সংস্থার মালিকের সঙ্গে বিদেশে ঘুরতেও গিয়েছেন। সব তথ্য থাকা সত্ত্বেও কেন ডাকা হয় না তাঁদের?'
যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত জাহান। সেই প্রসঙ্গ মমতা বলেন, 'এমন অনেক ডিরেক্টর আছেন। চারদিকে সব ভর্তি। বিজেপি নেতারা ভোটের রাজনীতি ভালই বোঝেন। মিথ্যে প্রচার ভালই করতে পারেন। প্রচুর টাকা আছে ওঁদের। এত টাকার আমদানি কোথা থেকে হয়, তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। অন্যদের বেলায় ইডি, সিবিআই। তাছাড়া আয়কর রয়েছে। নির্বাচন কমিশন রয়েছে। কারও ব্যক্তিগত ব্যাপারে আমি কথা বলব না।'