মধ্যবিত্তদের নাভিশ্বাস ওঠা বাজারদর থেকে রেহাই দিতে রাজ্য সরকার খোলে ‘সুফল বাংলা’ স্টল। সেখানে বাজারের থেকে তুলনায় সস্তা দরে সবজি মেলে। কিন্তু মাছের দামও তো আগুন। সেটা কেমন করে মাছ প্রিয় বাঙালি কিনবে? উঠেছে প্রশ্ন। এমনকী এরকম যদি মাছের ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার কোনও স্টল করে তাহলে মধ্যবিত্ত বাঙালি উপকৃত হবে। এমন প্রস্তাব যায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বলে সূত্রের খবর। এই প্রস্তাব পেয়েই এবার দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে রাজ্যজুড়ে ন্যায্য মূল্যের মাছের দোকান খুলতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যার নাম দেওয়া হচ্ছে ‘সুফল বাংলা মৎস্য’। সুতরাং গৃহস্থের কপালের ভাঁজ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখানে কি সব মাছ মিলবে? এখানে বেশিরভাগ পরিচিত মাছই মিলবে বলে খবর। তাতে ইলিশ, চিংড়ি, পাবদা, রুই এবং ফিস ফ্রাইয়ের জন্য মাছের ফিলে পর্যন্ত মিলবে সুফল বাংলা মৎস্য আউটলেটগুলিতে। শুধু তাই নয়, এই মাছগুলি মিলবে ন্যায্য মূল্যে। ফলে বাজারে গিয়ে চড়া দাম শুনে আর হতাশ হতে হবে না গৃহস্থদের। পিছিয়ে আসা বা ঠকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। এখানে মাছ বিক্রির আগে মাছের গুণমান যাচাইয়ের ব্যবস্থাথাকবে আউটলেটগুলিতে। এই বিষয়ে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্গাপুজোর আগেই এই আউটলেটগুলি চালু হয়ে যাবে। উৎসবের মরশুমে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ মিলবে।
আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ডিম পরিষেবা বন্ধ, খিচুড়িতে নেই সবজি, মুর্শিদাবাদে ক্ষোভ অভিভাবকদের
কেমন পরিষেবা এখানে মিলবে? হরিণঘাটা মিট স্টল থেকে মাংস মিলত। তারপর তা বাংলা ডেয়ারি হয়ে যায়। সেখানেও দুধ থেকে শুরু করে প্যাকেটজাত মাছ, মাংস মেলে। আবার সবজির ক্ষেত্রে সুফল বাংলা মানুষজনকে সস্তায় বাজার তুলে দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছে। এবার আসছে ন্যায্য মূল্যে মাছের দোকান। যার নাম মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঠিক করেছেন বলেই সূত্রের খবর। দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে রাজ্যের নানা প্রান্তে ৩৪টি আউটলেট দিয়ে পথ চলা শুরু করবে সুফল বাংলা মৎস্য প্রকল্প। ২০টি আউটলেট নতুন করে তৈরি করা হবে। কয়েকটি জায়গায় সুফল বাংলার স্থায়ী সবজি বিক্রয় কেন্দ্রে গড়ে উঠবে এই ‘সুফল বাংলা মৎস্য’ বিপণি।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখানে একবার মাছ কিনে যদি ক্রেতারা সন্তুষ্ট হন তাহলে তাঁরা বারবার আসবেন। একদিকে গুণমান ভাল অপরদিকে ন্যায্যমূল্য। এই দুই হচ্ছে সুফল বাংলা মৎস্য প্রকল্পের ইউএসপি। এই বিষয়ে মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই আউটলেটগুলিতে বিক্রির জন্য মাছ সরবরাহের দায়িত্ব নিজের হাতেই রাখছে মৎস্য দফতর। ধীরে ধীরে দোকানের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। এখন রাজ্যে মাছের উৎপাদন বেড়েছে বিপুল হারে। সুতরাং মাছ নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের উপর নির্ভরশীল হওয়া কমছে। এখন রাজ্যের মানুষকে ন্যায্য মূল্যে মাছ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।’