সরষের তেলের সঙ্গে পাল্লা দিতে শুরু করল কাটা পোনাও। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে পাইকারি বাজারে হুহু করে বাড়ছে মাছের দাম। পরিস্থিতি এমনই যে মাছের থেকে মুখ ফিরিয়ে মুরগির মাংসের দোকানে ভিড় করছেন অনেকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার হস্তক্ষেপ না করলে কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
গত বুধবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর থেকে বিভিন্ন বাজারে মাছের দাম বেড়েছে ৩০ – ৪০ শতাংশ। খুরচো ব্যবসায়ীরা বলছেন, আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে মাছ। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। আর পাইকারি বিক্রেতাদের দাবি, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে লন্ডভন্ড দশা পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলের। যে অঞ্চলে প্রধানত মাছ উৎপাদন হয় তার অনেকটাই এখন বানভাসি। ফলে মাছের জোগান কম। তাই বাড়ছে দাম।
পরিস্থিতি যে ভয়াবহ তা বোঝা যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার দিকে তাকালেই। সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকায় বাঁধ ভেঙে ভেসে গিয়েছে মাছের ভেড়ি। ভেসে উঠেছে মরা মাছ। সেই মাছ নুন হলুদ মাখিয়ে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা এখনো করে উঠতে পারেনি মৎস্য দফতর। যে সব পুকুরে নোনা জল ঢুকেছে সেখানে ফের কবে মাছ চাষ করা যাবে তাও অজানা।
একই অবস্থা পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল লাগোয়া এলাকার। সেখানেও মাছ চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেখান থেকেও কলকাতা ও শহরতলিতে মাছের যোগান বন্ধ।
গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো ঝড়ের পর থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওড়িশায় সামুদ্রিক মাছ শিকার। ফলে সামুদ্রিক মাছেরও যোগান নেই বাজারে। সব মিলিয়ে গুরুতর অবস্থা পাইকারি মাছবাজারগুলির। খুচরো ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে আগামীদিনে মাছ কিনবো কী করে তাই ভেবে পাচ্ছি না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।