প্রজেক্ট ‘ফিট কপ’। সেই আনফিট পুলিশ আর নয়। একেবারে ঝরঝরে। বাঁশি বাজলেই ছুটবেন। অশান্তি হলেই ছুটবেন। এলাকায় দুষ্কৃতীদের দাপট বাড়লেই ছুটবেন। একেবারে ঝটাপট অ্য়াকশন। আর সেই ফিট পুলিশের প্রকল্পে বড় সাফল্য পেল বনগাঁর দুই পুলিশ কনস্টেবল। কনস্টেবল মিঠুন ঘোষ ও কনস্টেবল রমেন দাস।
এদিকে ফোর্সের চাকরিতে সাধরণত শরীর ফিট রাখতে হয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর তার পরীক্ষাও হয়ে থাকে।
বনগাঁ পুলিশ জেলার এসপির তরফে এক্স হ্য়ান্ডেলে সেই পুলিশের সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, প্রজেক্ট ফিটকপ। সাকসেস স্টোরি। কনস্টেবল মিঠুন ঘোষ ও রমেন দাস দারুন ওজন কমিয়েছেন। এক মাসে তাঁরা ওজন কমিয়েছেন ১৩ কেজি ও ১২ কেজি করে। এই প্রকল্পে থাকা ৫০জন পুলিশ কর্মীর মধ্য়ে তাঁরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন। ডিআইডি বারাসত রেঞ্জ তাঁদের পুরস্কৃত করেছেন। বনগাঁ পুলিশ জেলার বার্ষিক স্পোর্টসে তাঁদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এসপি বনগাঁ পিডির এক্স হ্যান্ডেলে সেকথা জানানো হয়েছে।
সেখানে পরপর দুটি ছবি দেওয়া হয়েছে। একটা হল আগের। আর আরেকটি হল পরের।
তবে অনেকেরই প্রশ্ন একমাসে ১৩ কেজি ওজন কমালেন কী করে? রহস্যটা কী! সেটা জানতে চাইছে নেটপাড়া।
এদিকে এক নেটিজেন জানিয়েছেন, কীভাবে তাঁরা এই ফিটনেস পেলেন সেই ব্যাপারটা একটু জানান। আমরাও তাহলে করে দেখব!
সূত্রের খবর, বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে, নির্দিষ্ট অনুশীলন করে এটা সম্ভব হয়েছে। যে সমস্ত পুলিশকর্মীদের ওজন ঝড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে তাঁদেরকে বেছে নিয়ে নির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হয়। সেই মতো ডায়েটিশিয়ানদের দিয়ে ডায়েট চার্ট তৈরি করা হয়। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীদের কোনও সমস্য়া রয়েছে কি না সেটাও দেখা হয়। তাঁদের নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনের উপর জোর দেওয়া হয়। তাঁদের হাঁটাহাঁটি ও খেলার উপর জোর দেওয়া হয়।
স্মার্টওয়াচের মাধ্য়মে তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়। অন্তত ১০ হাজার পা হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গেই রয়েছে নির্দিষ্ট খাওয়াদাওয়া। নির্দিষ্ট অনুশীলন করার কথাও বলা হয়। যে পুলিশকর্মীরা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সেই নিয়ম পালন করেছেন তাঁরা সাফল্য পেয়েছেন। তাঁদেরকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য পুরস্কারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূলত অন্য়রা যাতে উৎসাহ পান সেকারণেই এই পুরস্কারের ব্যবস্থা।