কোনও অনুমতি ছাড়াই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের আশুতোষ বিল্ডিংয়ের সামনে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়। এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তারস্বরে ‘টুম্পা সোনা’ গান চালিয়ে তাতে কোমর দুলিয়ে পড়ুয়াদের নাচের ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, ‘ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিরোধী’ সেই কাজের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবশেষে সোমবার এ প্রসঙ্গে এক বৈঠকে কড়া পদক্ষেপ করল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
‘টুম্পা সোনা’ বিতর্কে কড়া শাস্তির মুখে পড়লেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) পাঁচ নেতা। তাঁদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ৫ জন নেতাকে আগামী ২ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না। জানা গিয়েছে, ওই পাঁচ নেতার মধ্যে সংস্কৃত কলেজের এক অধ্যাপকও রয়েছেন।
গত মঙ্গলবার সরস্বতী পুজোর দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের আশুতোষ বিল্ডিংয়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, তারস্বরে ‘টুম্পা সোনা’ গান বাজিয়ে কোমর দুলিয়ে নাচছেন একদল পড়ুয়া। রীতিমতো উদ্দাম নৃত্য চলতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। সঙ্গে আরও কয়েকটি চালানো হয়। প্রথমত করোনা পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সরস্বতী পুজো এবং করোনা পরিস্তিতিতে কোনও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এ সব কারা করল কীভাবে করল— তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পড়ুয়াদের কারও মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও–তে।
এ ঘটনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে যেতেই তিনি এর তদন্তের আশ্বাস দেন। সরস্বতী পুজোর নামে যে ‘উচ্ছশৃঙ্খলতার ছবি’ ধরা পড়েছে, তাকে ‘দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ধিক্কার’ জানিযেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ঘটনার সত্য উদ্ঘাটন করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপাচার্য। সেই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তা দেখেই এদিন টিএমসিপি–র পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে কনা সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।