মেট্রোর কাজের জন্য খালের জলের গতি বাধাপ্রাপ্ত হবে না। রিপোর্ট দিয়ে এই কথাই জানিয়ে দিল মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএল। উল্লেখ্য, নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দরের কাজ চলছে। সেই কাজ করতে গিয়ে নিকাশি নালা নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসতে শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই মেট্রো প্রকল্পের নির্মাণকারী সংস্থার তরফে এই কথাই জানানো হল।
নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের বিভিন্ন জায়গায় খালের ওপর দিয়ে পিলার তৈরি হচ্ছে। নির্মাণকারী সংস্থার তরফে সে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, অভিষিক্তা ক্রসিংয়ে টিপি ক্যানেলের ওপর কাজ হচ্ছে ১১০ থেকে ১১২ নম্বর পিলারের। পিলারগুলির ফাউন্টেশনের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখানে খালের জল বাধাপ্রাপ্ত নয়। পাশাপাশি নোনাডাঙায় মেট্রোর কাজের জন্য রাস্তা পাওয়া যায়নি। মেট্রো এখানে বাসপাসকে চওড়া করে দিচ্ছে। এখানে যে পিলারগুলি তৈরি হচ্ছে, তার মধ্যে দুটির কাজ শেষ হয়ে গেছে। একইসঙ্গে আম্বেদকর সেতুর কাছে দুটি ক্যানেল আছে। একটি ক্যানেলের কাজ ১৫ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এই জায়গায় দুটি মেট্রো স্টেশন জুড়েছে, একটি হল ঋত্বিক ঘটক মেট্রো স্টেশন, অন্যটি হল বরুণ সেনগুপ্ত মেট্রো স্টেশন। সেইসঙ্গে মেট্রোপলিটন খালের কাছে পিলারের কাজের কথাও উল্লেখ করা হয়। সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ওখানে খালের ওপর কোনও পিলার হচ্ছে না। খালের পাড়ে পিলার হচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
গত সোমবার মেট্রোর কাজের জন্য নিকাশি নালা বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে কলকাতা পুরনিগমে একটি জরুরি বৈঠক বসে। নিকাশি খালের ওপর নতুন করে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় পুরনিগম। সোমবারের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পুর কমিশনারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়া হবে। সেই কমিটি খালগুলির অবস্থা পরীক্ষা করে দেখবে। নতুন করে খালের মুখ বন্ধ করে নির্মাণকাজ করা যাবে না। প্রয়োজনে আইআইটি খড়গপুরের পরামর্শ নিতে হবে।