সঞ্জয় রায়। আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তাকে। পরে সিবিআই তাকে হেফাজতে নেয়। এদিকে আরজি কর কাণ্ডে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার জেরে প্রায় রোজই সঞ্জয় রায়কে শিয়ালদা আদালতে নিয়ে আসা হচ্ছে। আর এবার শিয়ালদা আদালতে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ল সঞ্জয়। খুন ও ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত সঞ্জয়ের এই আচরণকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এতদিন চিৎকার করতেন প্রিজন ভ্যানের ভেতর থেকে। আমি নির্দোষ বলে চিৎকার করতেন। আবার দিন কয়েক আগেই কলকাতা পুলিশের তৎকালীন কমিশনার বিনীত গোয়েলের নামও উল্লেখ করেছেন তিনি। আর এবার আর সেই অভিযোগ নয়। একেবারে ফ্লাইং কিস।
এদিকে এই আচরণের মাধ্যমে সঞ্জয় আসলে কী বোঝাতে চাইল তা স্পষ্ট নয়। তবে প্রিজন ভ্য়ানে ওঠার আগে তাকে এই ভঙ্গিমায় দেখা যায়। এরপর তাকে দ্রুত প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তবে অনেকের মতে, সঞ্জয় ফ্লাইং কিস দেয়নি। হয়তো কিছু বলতে চেয়েছিল। সেটা দেখে দূর থেকে এমনটা মনে হয়েছিল।
তবে গত কয়েকদিন ধরেই আদালত থেকে যাওয়ার সময় খেলা দেখাচ্ছে সঞ্জয়। মঙ্গলবার তাকে জাল দিয়ে ও কালো কাঁচ দিয়ে ঘেরা গাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল। এর জেরে সে বিশেষ কিছু করতে পারেনি। আর এদিন একেবারে উড়ন্ত চুমু।
প্রথম দিকে আদালত থেকে ফেরার পথে প্রিজন ভ্যানের জানালা দিয়ে সঞ্জয় বলেছিল, ‘আমি কিন্তু রেপ আর মার্ডার করিনি। আমায় নীচে নামিয়ে দিল। আমার কথা শুনছে না। পুরো সরকার আমায় ফাঁসাচ্ছে। আমি এতদিন চুপ ছিলাম। আমায় সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে তুমি কিছু বলবে না, তুমি কিছু বলবে না। এমনকী ডিপার্টমেন্ট আমায় ভয় দেখিয়েছে…আমি পুরোপুরি নির্দোষ। আমায় ফাঁসানো হয়েছে।’
কার্যত সেদিন প্রিজন ভ্যানের ভেতর থেকে চিৎকার করছিল সে।
সোমবার প্রিজন ভ্যানের জানালা থেকে ফের চিৎকার করছিল সঞ্জয়। বার বার সে চিৎকার করে বলছিল, আমি নাম বলে দিচ্ছি বিনীত গোয়েল ডিসি স্পেশাল, ওনারা সাজিশ করে আমায় ফাঁসিয়েছে।
এদিকে এভাবে কলকাতা পুলিশের তৎকালীন কমিশনারের নাম উল্লেখকে কেন্দ্র করে নানা চর্চা হয়।
তবে এরপরই সঞ্জয়ের জন্য় বরাদ্দ গাড়ি বদলে ফেলা হয়। একটা প্রিজন ভ্য়ান ছিল কনভয়ের মধ্যে। আর সেই কনভয়ের মধ্য়ে কালো কাঁচ দিয়ে ঘেরা দুটি গাড়ি ছিল। সেই গাড়ির মধ্যে একটি গাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল সঞ্জয় রায়কে। সূত্রের খবর এমনটাই। শিয়ালদা আদালতে সঞ্জয়কে নিয়ে আসা হল একেবারে বেনজির ঘেরাটোপে। সেক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যম কার্যত বুঝতেই পারেনি যে কোন গাড়িতে সঞ্জয়কে নিয়ে আসা হচ্ছে। সাধারণ মানুষও বুঝতে পারেননি কোন গাড়িতে রয়েছে সঞ্জয় রায়।
আর এবার সঞ্জয় কথা না বললেও প্রিজন ভ্যানে ওঠার মুখে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দিল।