রাজ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে একের পর এক পদক্ষেপ করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রোগীদের সুবিধার্থে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে শুরু করে রয়েছে স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্প। এছাড়াও চিকিৎসা পরিকাঠামোকে আগের থেকে উন্নত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। এবার আরও ভালো চিকিৎসা পরিষেবা দিতে রাজ্যের দুটি সরকারি হাসপাতালে বসল অত্যাধুনিক মাইক্রোস্কোপ যন্ত্র। এরফলে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা আরও সহজ হবে।
আরও পড়ুন: জ্বর-ব্যথা-ম্যালেরিয়া, NRS-র স্টকে নেই ১০০-র বেশি রোগের ওষুধ, সমস্যায় রোগীরা
যে দুটি সরকারি হাসপাতালে অত্যাধুনিক এই মাইক্রোস্কোপ বসেছে সেগুলির মধ্যে একটি হল পিজি এবং অন্যটি হল এনআরএস হাসপাতাল। পিজিতে আগেই এই মাইক্রোস্কোপ বসেছে। এবার এনআরএসেও বসে গেল এই যন্ত্র। এগুলির মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে যে কোনও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকে প্রায় ৪০ গুণ বড় করে দেখা যাবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কোনও পিঁপড়েকে দেখতে একটি আরশোলার সাইজের মনে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে এই ধরনের মাইক্রোস্কোপ এর আগে ছিল না। এই প্রথম এই মাইক্রোস্কোপ বসানো হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণত অনেক ক্ষেত্রেই কারখানায় কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। সেক্ষেত্রে অনেকের দেহাংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, আবার আনাজ বা মাছ মাংস কাটতে গিয়ে আঙুল কাটার মতো ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে গিয়ে ক্ষুদ্র ফোস্কা, বা অগ্নিদগ্ধ স্থান পূরণে ফ্ল্যাপিং খুব সহজ হবে এই মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে। এছাড়াও, মুখগহ্বরের মারাত্মক সব ক্যান্সারাস টিউমার হয়ে থাকায় যেগুলির অস্ত্রপোচারের সাহায্যের জন্য এই ধরনের অত্যন্ত জরুরি হাইটেক যন্ত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে।
জানা গিয়েছে, পিজিতে কয়েকমাস আগে এই যন্ত্রটি এসেছে। আর এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে কিছুদিন আগেই এই যন্ত্র এসেছে। এবিষয়ে এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য দফতর ও রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে রোগীরা উপকৃত হবেন। এরফলে বিভিন্ন জটিল অস্ত্রোপচার সহজ হয়ে যাবে। এই যন্ত্রের ফলে রোগীরা উপকৃত হবেন বলেই জানাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকদের বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রেই খালি চোখে অতিসূক্ষ্ম যেসমস্ত রক্তনালী বিশেষ করে শিরা ও ধমনি এবং নার্ভ রয়েছে সেগুলি সেলাই করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তারফলে ভুলভ্রান্তি হয়ে গেলেই রোগীরা সমস্যায় পড়েন। সেই অবস্থায় এই ধরনের আধুনিক মাইক্রোস্কোপ খুবই কার্যকরী। সেক্ষেত্রে ভুলভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।