একটি নাবালিকা মেয়ের অন্তর্বাস জোর খুলে দেওয়া এবং তাকে শুয়ে থাকতে বাধ্য করা ধর্ষণের অপরাধের সমান। সম্প্রতি একটি মামলায় এমনই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অপরিচিত ব্যক্তির যদি এই ধরনের কাজ করে থাকে তাহলে সেটা ধর্ষণের সমান অপরাধ।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০০৭ সালে এক নাবালিকা একটি খেলনার দোকানের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন এক ব্যক্তি তার কাছে এসে তাকে আইসক্রিম দেয়। তারপর অভিযুক্ত তাকে বলে সে তাকে আরও খাবার দেবে। এই প্রলোভন দিয়ে তাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত নাবালিকাকে তার প্যান্ট খুলে ফেলতে বললে সে ঘটনাস্থল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারপর অভিযুক্ত নাবালিকার পিছু ধাওয়া করে এবং তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে তার অন্তর্বাস খুলে দেয়। কিন্তু, মেয়েটি চিৎকার করতে শুরু আশেপাশের লোকজন সেখানে চলে আসে এবং ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও ডাক্তারি পরীক্ষায় মেয়েটিকে নির্যাতনের কোনও প্রমাণ মেলেনি।
মামলাটি ওঠে নিম্ন আদালতে। বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করার পর নিম্ন আদালত অভিযুক্তের ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, অভিযুক্ত যৌন তৃপ্তি মেটানো ছাড়া নাবালিকাকে আইসক্রিম দেওয়ার কোনও কারণ ছিল না। তারপরে নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে দেওয়া থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যেই এমনটি করা হয়েছিল। এছাড়া আর কোনও কারণ দেখতে পারেনি আদালত। এরপর অভিযুক্তের আবেদন খারিজ করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup