গত কয়েকদিন ধরে জঙ্গলমহলে ঘুরছিল বাঘিনী জিনাত। কার্যত লুকোচুরি। এবার তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে খবর। সূত্রের খবর, দিন কয়েক তাকে কলকাতায় থাকতে হতে পারে। আসলে আলিপুর জু হাসপাতালে কয়েকদিন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হতে পারে। তারপর তাকে কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে আপাতত তার ঠিকানা হতে পারে কলকাতা।
তার ওজন ১৩৫ কেজি। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
সূত্রের খবর বাঘিনী জিনাতকে নিয়ে কলকাতায় রওনা দিয়েছে বনদফতরের গাড়ি। কোনওভাবেই তার যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। তবে আপাতত বাঘিনী সুস্থ আছে বলে জানা গিয়েছে। তবে তাকে এখনই জঙ্গলে না ছেড়ে তার শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হবে। তার যাতে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি না হয় সেটা দেখা হবে।
তবে গত কয়েকদিন ধরে বাঘিনীকে ধরতে একেবারে নাকানিচোবানি খেয়েছে বনদফতর। অবশেষে রবিবার ধরা পড়েছে সেই বাঘিনী জিনাত। ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হয় বাঘিনী। তাকে আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
এদিকে সাহসিকতার সঙ্গে বাঘিনী ধরার ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, 'বাঘিনী জিনতকে সফলভাবে উদ্ধার করতে পারার জন্য আমি পশ্চিমবঙ্গের বন বিভাগের আধিকারিকদের আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।'
'সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাঁদের সকলের মহামূল্যবান সহযোগিতা এবং সমবেত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই অসাধারণ কাজটি করার জন্য।'
তিনি জানিয়েছেন, 'বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ করতে সকলের দলগত প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠা যে কতখানি আন্তরিক, এই সফল উদ্ধার অভিযানই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।'
তবে গত কয়েকদিন ধরে একেবারে নাকানিচোবানি খেয়েছে বনদফতর। একদিকে বাঘিনীকে ধরা, অন্যদিকে তাকে সুরক্ষিত রাখা, আবার লোকালয়ে যাতে ঢুকে না পড়ে সেটা দেখা, একেবারে বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল বনদফতরের কাছে।
তবে শেষ পর্যন্ত সফল বনকর্মীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পোস্ট করা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে একেবারে কাঁধে করে বাঘিনীকে বয়ে নিয়ে আসছেন বনকর্মীরা। একদিকে অসম সাহস আর অন্যদিকে বাঘিনীর যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেটা দেখা হয়েছে বনদফতরের তরফে।
ওড়িশার সিমলিপালের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পড়েছিল। এরপর একের পর এক জঙ্গল পেরিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে ধরা পড়ল বাঁকুড়ার জঙ্গলে। বহু চেষ্টার পরে।
সূত্রের খবর, বাঘ ধরার কাজে নিয়োজিত এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বাঘিনী আপাতত সুস্থ রয়েছে। বাঘিনীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাঘ আমরা ধরেছি। গত ৮দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় বাঘটা ছিল। বিভিন্ন টিম কাজ করছিল। অবশেষে বাঘটি ধরা পড়েছে।