বাবা প্রাক্তন সেনা–কর্মী। তাই তাঁর একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক আছে। আর সেই বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে তাঁর বড় ছেলের পা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে সরশুনা এলাকায়। বন্দুক থেকে গুলি ছুঁড়ে ছেলেকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে আটক করা হয়েছে প্রাক্তন সেনা কর্মীকে। বেহালার সরশুনার নস্করপাড়া এলাকার ঘটনায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রটি। তদন্তে নেমেছে সরশুনা থানার পুলিশ।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই প্রাক্তন সেনা–কর্মীর বাড়ির সামনে প্রায়ই বসত মদের আসর। যা তিনি পছন্দ করতেন না। কারণ সেখানে চেঁচামেচি, হই–হট্টগোল, অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা চলত। পাড়ার এই যুবকদের কাজে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মী। একাধিকবার প্রতিবাদ করেও কাজ হয়নি। বৃহস্পতিবারও ঘটে একই ঘটনা। তখন বন্দুক নিয়ে ভয় দেখাতে যান তিনি। কিন্তু বাবার হাত থেকে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে ভেবে বাধা দেন বড় ছেলে। বন্দুক হাত থেকে কেড়ে মাটিতে আছড়ে ফেলতেই ঘটে যায় বিপর্যয়। বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে বড় ছেলের পা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। আর তাতেই চা্ঞ্চল্য ছড়ায়।
অন্য একটি সূত্র অবশ্য বলছে, এই প্রাক্তন সেনা–কর্মী প্রবীণ কুমার নিজেই মদ্যপান করতেন। তাই নিয়েই নাকি পারিবারিক বিবাদ বাধে। সেখান থেকে বন্দুক বের করে ছেলেকে হুমকি দিতে যান। দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তিতেই বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে বড় ছেলের পায়ে লাগে এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। পুলিশ এই প্রাক্তন সেনা–কর্মীকে আটক করেছেন।
বড় ছেলের নাম পবন কুমার। তাঁকে এশএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁর অস্ত্রোপচার হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রবীণ কুমার ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। পাঁচ বছর আগে তিনি অবসর নেন। একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক আছে তাঁর কাছে। এই বন্দুর থেকেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কি করে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।