দুই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ৫০ কোটি টাকার পুরোটাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। জেরায় দাবি করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। একাধিক রিপোর্টে তা জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইডির তরফে সরকারিভাবে মুখ খোলা হয়নি।
ইডির সূত্র উদ্ধৃত করে একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিন জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বে সহযোগিতা করছেন। সেই রেশ ধরেই অর্পিতা দাবি করেছেন, টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে যে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, তার পুরোটাই পার্থের অর্থ। মাঝেমধ্যেই পার্থের লোকজন ফ্ল্যাটে আসতেন। টাকা রেখে দিয়ে যেতেন। সেই বিষয়টি তিনি জানলেও এত বিপুল পরিমাণে যে টাকা রাখা হচ্ছে, তা নিয়ে ন্যূনতম ধারণা ছিল না।
গত সপ্তাহে টালিগঞ্জে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সোনা, বিদেশি মুদ্রা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি। বুধবার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটের 'রেকর্ড' ভেঙে দেয় বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট। আবাসন কমিটির সম্পাদক অঙ্কিত চুরারিয়াও জানিয়েছেন, ২৭.৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পাঁচ কিলোগ্রামের মতো সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইডির এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেছেন, '২৭ কোটি ৯০ টাকা, প্রায় পাঁচ কিলোগ্রাম সোনা, রুপোর কয়েন, দলিল এবং অন্যান্য নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।'
তারইমধ্যে একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জেরায় অর্পিতা দাবি করেছেন, যে ঘরে টাকা রাখা হত, সেখানে তাঁর ঢোকার অনুমতি ছিল না। মাঝেমধ্যে পার্থও আসতেন। তখন ওই টাকার ঘরে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হত না বলে দাবি করেছেন অর্পিতা। তবে বিষয়টি নিয়ে ইডির তরফে সরকারিভাবে মুখ খোলা হয়নি।
পার্থকে বহিষ্কারের দাবি কুণালের
বৃহস্পতিবার সকালে টুইটারে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'অবিলম্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব এবং দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। ওঁকে বহিষ্কার করা উচিত। যদি আমার এই মন্তব্য ভুল মনে হয়, তাহলে সব পদ থেকে আমায় সরিয়ে দেওয়ার সমস্ত অধিকার আছে দলের। আমি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সৈনিক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব।'