কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করায় এর আগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের পদ খোয়াতে হয়েছিল সুবীর মৈত্রকে। এবার আরও বিপাকে পড়লেন প্রাক্তন রেজিস্ট্রার। আর্থিক অনিয়ম সহ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরেই সুবীর মৈত্রকে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, তাঁর কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ক্ষতি হয়েছে সেই অর্থ তাঁকে প্রদান করতে হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডিভিশন বেঞ্চেও মিলল না স্বস্তি, আরও বিপাকে রবীন্দ্রভারতীর রেজিস্ট্রার
সুবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরেই তদন্ত শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে। এরপর গত ৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা করেন তদন্তকারী আধিকারিক। সেই রিপোর্ট পাওয়া মাত্রই সুবীরের কাছে জবাব চেয়ে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতে নিজের স্বপক্ষে জবাবি চিঠি পাঠান সুবীর মৈত্র। বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ রীতি নির্ধারক সংস্থা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে তদন্তের রিপোর্ট, সাক্ষীদের বয়ান এবং জবাবি চিঠি খতিয়ে দেখা হয়। সেখানেই সুবীরকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুবীরকে বরখাস্তের কথা জানানো হয়।জরুরী ভিত্তিতে প্রাক্তন রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করার কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। আরও বলা হয়েছে, তাঁকে বরখাস্ত করার ফলে তিনি অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা পাবেন না।
প্রসঙ্গত, অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর তিনি বেশ কিছুদিন রেজিস্ট্রার পদে ছিলেন। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলাও দায়ের হয়। তবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় তাঁকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে সুবীরকে রেজিস্ট্রার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ হন আশিষ সামন্ত। গত ১৫ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এদিকে, সম্প্রতি তৃণমূলের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন, ছাত্র এবং শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলনের জেরে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ না মেন ইসি মিটিংয়ে একাধিক বেআইনি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার পদে থাকা ব্যক্তিরা অনভিজ্ঞ।