ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে এখন সম্পর্কে চিড় ধরেছে। যদিও একদা ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। গোয়ালপোখর এবং চাকুলিয়ার প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক ছিলেন তিনি। অধুনা পৃথক রাস্তা বেছে নিয়েছিলেন তিনি। তাতে সাফল্য আসতে হয়তো সময় লাগত। এবার আজ, সোমবার তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন? হ্যাঁ, তিনি প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রামজ ওরফে ভিক্টর।
ঠিক কী বলেছেন ভিক্টর? কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তখন তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘দুর্গাপুজোর আগে অধীরবাবুর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছিল। সেখানে ঠিক হয় দুর্গাপুজোর পরে আবার বৈঠকে বসা হবে। তাই আজ যাচ্ছি।’ আজই কি আপনি কংগ্রেসে যোগ দেবেন? জবাবে ভিক্টর বলেন, ‘সব ঠিকঠাক হলে আজকেই আমি কংগ্রেসে যোগ দেব।’
কেন ফরওয়ার্ড ব্লক ছাড়লেন ভিক্টর? সূত্রের খবর, নরেন চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য ফরওয়ার্ড ব্লকে তাঁর সঙ্গে মতান্তর হচ্ছিল। এই মতপার্থক্য থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন উত্তর দিনাজপুরের তরুণ কমরেড। দলের পতাকার রঙ বদল নিয়ে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন ভিক্টর। তাই ভিক্টরকে বহিষ্কার করে নেতাজির দল। ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে বহিষ্কৃত হয়ে ভিক্টর সিপিআইএমের কাছে এসেছিলেন। মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে কথাও হয়েছিল ভিক্টরের। কিন্তু বিষয়টি পাকেনি বলেই কংগ্রেসে গমন।
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে। সেখানে ভিক্টর কংগ্রেসে যোগ দিলে প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির জেলায় কংগ্রেস নতুন অক্সিজেন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভিক্টর যখন বিধায়ক ছিলেন তখন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর চোখা বক্তৃতা শোনা গিয়েছিল। উত্তর দিনাজপুরে ভিক্টরের সুনাম রয়েছে। ২০০৯ সালে প্রথম গোয়ালপোখর থেকে উপনির্বাচনে বিধায়ক হয়েছিলেন ভিক্টর। আর ২০১১ সালে চাকুলিয়া থেকে জিতেছিলেন তিনি।