নিজেদের জালে জড়িয়েই আয় কমে গেল কলকাতা পুলিশের। কারণ তাঁরা যে নজরদারি ক্যামেরা শহরজুড়ে লাগিয়েছিল তা বন্ধ ছিল। এই বেনজির কাণ্ডে একদিনে প্রায় চার লক্ষ টাকা আয় কমল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের! যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গত বুধবার কয়েক ঘণ্টা রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। এমনকী গতি মাপার ক্যামেরাও বন্ধ ছিল। তাই জরিমানা করতে পারেনি ট্র্যাফিক পুলিশ।
এমন ঘটনাও যে ঘটতে পারে তা কেউ ভারতেও পারছেন না। কিন্তু এমনই ঘটনা ঘটেছে খোদ শহরে। কারণ রাস্তায় ১৭০০টির বেশি ক্যামেরা রয়েছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের। বেপরোয়া গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি এবং জরিমানার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু এগুলি বন্ধ থাকায় ট্র্যাফিক আইন অনেকেই লঙ্ঘন করেছেন। কিন্তু তাঁদের জরিমানা করা যায়নি। সুতরাং আয় মুকূর্তে তলানিতে পৌঁছেছে।
ট্র্যাফিক দফতরের হিসেব অনুযায়ী, রোজ গড়ে হাজার দেড়েক গাড়িমালিককে জরিমানা করা হয়। শনিবার ও রবিবার গাড়ি তুলনায় কম চলায় সেই অঙ্ক কিছুটা কমে। তবে বুধবার নজরদারি ক্যামেরার পাশাপাশি বন্ধ ছিল ক্যামেরার সাহায্যে গাড়ি চিহ্নিত করে স্বয়ংক্রিয় জরিমানার ব্যবস্থাও। সুতরাং গড় আয় প্রায় চার লক্ষ টাকা কমে গিয়েছে একদিনে। কারণ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জরিমানা বাবদ দৈনিক গড়ে চার লক্ষ টাকার বেশি আয় হয় কলকাতা পুলিশের।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল থেকে শহরে বন্ধ ছিল কলকাতা পুলিশের নজরদারি ক্যামেরা। প্রথমে সাইবার হামলার আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, সফটওয়্যারের কিছু আপডেটের কাজ করানোর জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। সেকথা স্বীকার করেছে লালবাজার। কিন্তু আয় কমে গিয়েছে তাঁদের। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ মহলে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।