বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > CCTV Camera: চার থানাতে সিসি ক্যামেরা বিকল, কলকাতা হাইকোর্টের রিপোর্ট তলবে চাপে লালবাজার

CCTV Camera: চার থানাতে সিসি ক্যামেরা বিকল, কলকাতা হাইকোর্টের রিপোর্ট তলবে চাপে লালবাজার

সিসিটিভি ক্যামেরা (HT_PRINT)

এই চার থানায় সিসিটিভি খারাপ থাকা নিয়ে তথ্য জানতে চেয়েছে লালবাজার। কেন সেগুলি বিকল হয়ে পড়ে রইল?‌ তা জানতে চেয়েছেন কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের কর্তারা। এমনকী নতুন করে সেখানে ক্যামেরা লাগাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সেটার ব্যবস্থা করছে লালবাজার। কেন এই বিকল ক্যামেরার খবর লালবাজারকে আগে জানানো হল না?‌

শহরের চারটি থানায় সিসিটিভি ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ। এই চারটি থানা হল–টালা, সিঁথি, কাশীপুর এবং আমহার্স্ট স্ট্রিট। অথচ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, দেশের সব থানাতেই সিসিটিভি লাগাতে হবে। আর তা দিয়ে নজরদারি করতে হবে। সেখানে এই চারটি থানায় সিসি ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়েছিল তা নিয়ে এতদিন কোনও হেলদোলই ছিল না পুলিশের। গত ৫ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের সব থানার সিসি ক্যামেরার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। আর তখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ও লালবাজার নড়েচড়ে বসে। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার নতুন ক্যামেরা বসাতে দরপত্র ডেকেছেন।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ কিছুদিন আগে নদিয়ায় পুলিশের হেফাজতে আসামীকে নির্যাতনের অভিযোগে একটি মামলা হয়। তখনই থানার সিসিটিভি ক্যামেরা বিকল থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সুতরাং সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ এখানে মানা হল না বলেই মনে করা হচ্ছে। এবার এই নির্দেশ কেন অমান্য করা হচ্ছে?‌ এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে সব থানার সিসি ক্যামেরার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করা হয়। আগামী ১৭ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি। এই রিপোর্ট তলব করতেই খোঁজ নেয় লালবাজার। তখনই এই চারটি থানায় দীর্ঘদিন সিসি ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়ে থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সিঁথির মতো থানায় যেখানে আগে পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল সেই থানাতেও সিসি ক্যামেরা অকেজো।

সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দিয়েছিল?‌ সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, প্রত্যেকটি থানার প্রবেশপথে, মূল গেটের সামনে, সেরেস্তায়, প্রত্যেকটি লকআপের ভিতরে–বাইরে, লবিতে, করিডরে, রিসেপশনে, বারান্দায়, ইনস্পেক্টর বা ওসিদের ঘরে, সাব–ইনস্পেক্টর বা অফিসারদের ঘরে, ডিউটি অফিসারের ঘরে, শৌচাগারের বাইরে, অভিযুক্তদের জেরার ঘরে এবং থানার পিছনে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। সেই নির্দেশের পর সম্প্রতি সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই চার থানায় সিসিটিভি খারাপ থাকা নিয়ে তথ্য জানতে চেয়েছে লালবাজার। কেন সেগুলি বিকল হয়ে পড়ে রইল?‌ তা জানতে চেয়েছেন কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের কর্তারা। এমনকী নতুন করে সেখানে ক্যামেরা লাগাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সেটার ব্যবস্থা করছে লালবাজার। তবে কেন এই বিকল ক্যামেরার খবর লালবাজারকে আগে জানানো হল না?‌ সেই প্রশ্নের জবাব দিতে বলা হয়েছে এই চার থানাকে। যদিও কলকাতা পুলিশের কোনও অফিসারই এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

বন্ধ করুন